আইপিএল মহাযজ্ঞে প্রথম ম্যাচ হারার ধারাবাহিক রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়নের আশা দেখাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
কল্যাণ অধিকারী
❏ শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মরুশহরে আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচ ৫উইকেটে জয় পেল চেন্নাই।
❏ টিম রোহিতের ১৬৩ রানের টার্গেট চার বল বাকি থাকতেই ১৬৬ বানিয়ে ফেলে টিম ধোনি।
❏ রায়ুডুর আটচল্লিশ বলে ঝকঝকে ৭১রানের ইনিংস প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
❏ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নির্ভরযোগ্য বোলার বুমরাহ ছন্দ হারা। দিলেন ম্যাচে সর্বোচ্চ রান। ক্যাচ ফেললেন হার্দিক।
❏ শেখ জায়েদ (আবুধাবি) স্টেডিয়াম খালি রেখেই শনিবারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইপিএল মহাযজ্ঞে প্রথম ম্যাচ হারার ধারাবাহিক রেকর্ড ধরে রাখল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টিম রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এদিন চেন্নাইয়ের কাছে হার দিয়ে শুরু করল ২০’র আইপিএল যাত্রা। ১৯-এর চেন্নাইকে এক রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এক বছর পর চেন্নাইয়ের কাছে দল হারলেও সমর্থকদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিল টিম রোহিত। সৌজন্যে টানা আট বার প্রথম ম্যাচে হারের পরেও চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শনিবার মরুশহরে আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচ শুরু হয় ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটায়। টস জিতে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না প্রমাণ করে দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টিম সিএসকে। ম্যাচ শেষে গাল ভরা হাসি প্রত্যেকের মুখে। শেখ জায়েদ (আবুধাবি) স্টেডিয়ামে ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ওয়াটসন ৪ এবং মুরলী বিজয় ১রানে ফিরে গেলেও রায়ুডু-দু’প্লেসি ও শেষে স্যাম কারেন ছয় বলে ১৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস চার বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিয়েছে চেন্নাই।
১৯-এর আইপিএল শুরুতে বিরাট কোহলির আরসিবিকে ৭০রানে আটকে দিয়েছিল ‘সিএসকে’। সাত উইকেটে জয়ী হয়ে চমক দিয়েছিল ‘কালার ইন-ইয়েলো।’ তারপর ফাইনাল ম্যাচে টিম রোহিতের কাছে ১রানে হেরেছিল সিএসকে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে দেখতে গেলে ২০’র আইপিএল-এ ধোনির জয়ে চিন্তার ভাঁজ কমছে না অনুরাগীদের। তবে রায়ুডুর এদিনের আটচল্লিশ বলে ঝকঝকে ৭১রানের ইনিংস প্রশংসনীয়। করোনাআবহে দীর্ঘ সময় লকডাউনের পর আইপিএল-এর ম্যাচ হওয়া নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তবে সেসব দূরে ঠেলে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মুম্বই-চেন্নাই ম্যাচ। ধোনি বনাম রোহিত মানেই বাড়তি উত্তেজনা। আইপিএলের ইতিহাস ঘাঁটলে বুঝে যাবেন ধোনিকে কেন দ্বিতীয় সফল ক্যাপ্টেন বলা হয়। অন্যদিকে ‘হিটম্যান’ রোহিত ম্যাচ বের করে আনবার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু এদিন সফল হলেন না।
আইপিএলে্র উদ্বোধনী ম্যাচের বল গড়ালেও ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স খুশি করতে পারেনি ‘হিটম্যান’-কে। ফিল্ডিংয়ের সময় একাধিক বল হাত ফসকে বাউন্ডারি হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নির্ভরযোগ্য বোলার বুমরাহ একদম ছন্দে নেই। ক্যাচ ফেললেন হার্দিক। করোনা আবহে দীর্ঘ সময় ঘরের মধ্যে থাকতে হয়েছে। মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা তারপর পোলার্ড, ক্রুণাল পান্ড্য, জেমস প্যাটিনসন সফল হয়নি। তবে কুইন্টন ডি কক কুড়ি বলে ৩০রান এবং সৌরভ তিওয়ারির তিনটি চার এবং একটি ছয় মেরে একত্রিশ বলে ৪২রান করে ১৬৩রান টার্গেট রাখে। কিন্তু বল হাতে বুমরাহ এদিন ম্যাচে বেশি রান দিলেন। চার ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন। বল করার সময় সেই তেজ উধাও।
করোনাভাইরাসের জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইপিএল টুর্নামেন্ট হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। মরুশহরের ২০ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট শেখ জায়েদ (আবুধাবি) স্টেডিয়াম খালি রেখেই শনিবারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলে থুতু লাগানো নিষেধ সহ গায়ে গায়ে ফিল্ডিং নিষিদ্ধর তালিকায় ছিল। তারপরও জয় হয়েছে ক্রিকেটের। পরাস্ত হয়েছে অতিমারি করোনা ভাইরাস!