ট্রাকে বোঝাই ধান, খুলতেই উদ্ধার ২৫টি প্রাচীন মূর্তি, বাজারমূল্য প্রায় ৩৫কোটি টাকা
কল্যাণ অধিকারী
*উত্তরবঙ্গ থেকে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি উদ্ধার করল শুল্ক দপ্তর।
*২৫টি মূর্তি উদ্ধার। আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৫ কোটি টাকার মতো।
*উত্তরবঙ্গের একাধিক টিম চীন, বাংলাদেশ, দুবাই এবং থাইল্যান্ডের কারবারিদের মূর্তি পাচার করে।
*চীন, বাংলাদেশ, দুবাই এবং থাইল্যান্ডের কারবারিদের পাচার করে।
*সাম্প্রতিক সময়ে এতো দুষ্প্রাপ্য মূর্তি উদ্ধার হয়নি, বড়সড় সাফল্য শুল্ক দপ্তরের।
সীমান্ত দিয়ে বিদেশে পাচারের আগে উত্তরবঙ্গ থেকে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি উদ্ধার করল শুল্ক দপ্তর। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর পাল-সেন যুগের বলে অনুমান তদন্তকারী অফিসারদের! মূর্তিগুলির আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৫ কোটি টাকার মতো।
জানা গেছে, একটি ট্রাকে করে ধানের বস্তা চাপিয়ে বিষ্ণুর মূর্তি, সূর্যদেবের মূর্তি, মনসাদেবী, পার্বতী সহ ব্রোঞ্জ এবং অষ্টধাতুর তৈরি ৭টি মুর্তি এবং ১১টি টেরাকোটা সহ মোট ২৫টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। সাম্প্রতিককালে এত দুষ্প্রাপ্য মূর্তি উদ্ধার হয়নি। বড়সড় সাফল্য শুল্ক দপ্তরের। উত্তর দিনাজপুর জেলার দেওবন্দ গ্রাম থেকেই মূর্তিগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে অনুমান করছে অফিসাররা। একটি ধানের বস্তাবোঝাই লরিতে মূর্তিগুলি পাচার করা হচ্ছিল।
সুত্রের খবর, উদ্ধারের পর মূর্তিগুলি পরীক্ষা করে দেখার জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় হেরিটেজ মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হয়। তাঁরাই সমস্ত চেকিং করে বহুমূল্য মূর্তির দাম বলেন। আনুমানিক মূল্য ৩৫কোটি টাকার মতন। উত্তরবঙ্গে একাধিক টিম বহু বছর ধরে মূর্তি চুরি করার সঙ্গে জড়িত। চীন, বাংলাদেশ, দুবাই এবং থাইল্যান্ডের কারবারিদের পাচার করে। ওই সমস্ত দুষ্প্রাপ্য মূর্তি বিক্রির আগেই পুলিশ উদ্ধার করে। বিক্রিবাট্টা করতে ডিল হয় ফোনে। তারপর পাচারের জন্য নানা বুদ্ধি করা হয়। লরিতে ধানের বস্তার ভিতরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।