ত্রয়োদশ আইপিল গেল আরব সাগরের পাড়ে মুম্বইয়ে

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
  আট বছরে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন মুম্বই।
 
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ট্রেন্ট বোল্ট, সর্বোচ্চ ছয়ের পুরষ্কার পেলেন ঈশান কিশান
 
মুম্বই পেল ২০কোটি, দিল্লি সাড়ে ১২কোটি।

আরব সাগরের পাড় থেকে রোহিতের ডেস্টিনেশন ছিল পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত দুবাই। করোনা অতিমারি সময়ে আইপিএল ছিল প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। সফলতম দল হয়ে পঞ্চমবারের জন্য আইপিএল জিতে আরব সাগরের পাড়ে ফিরছে রোহিতের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

মরুশহরে ফাইনালে দিল্লির দেওয়া ১৫৭ রানের সহজ টার্গেট হেসেখেলে পার করে দিল রোহিত এবং কোং। রান যখন ১৫৬ আর একটা রান নিলেই পঞ্চম বার চ্যাম্পিয়ান হবে মুম্বই। নর্টজের সর্ট পিচ স্লোয়ার ডেলিভারি উঁচু দিয়ে মেরে ম্যাচ জিতে নিতে যাচ্ছিল হার্দিক। কিন্তু ব্যাটে বলে সঠিক টাইমিং না হওয়ায় আউট হয়ে যান হার্দিক। হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়লেও ভাই কুণাল পান্ডিয়া এক রান নিয়েই জেতার আনন্দে দু হাত মিলে দিলেন। মাঠের বাইরে হাতের পাঞ্জা ‘৫ বার জিতলেন’ দেখালেন মুম্বইয়ের মালকিন নীতা অম্বানী।

ব্যাক টু ব্যাক আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোহিত। জেতার পর তিনি বলেছেন, “প্রতিটি ম্যাচের আগেই আমাদের নতুন করে প্রস্তুত হতে হয়। দিল্লির বিরুদ্ধে আমাদের টিম স্পিরিট ছিল বেশি। আমরা জেতার বিষয় একশো শতাংশ প্রস্তুত হয়ে মাঠে নেমেছিলাম। দলকে জেতাতে পেরে এবং পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল এনে দিতে পেরে ভাল লাগছে।” আইপিএল সে ওয়াংখেড়ে হোক বা দুবাইয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়াটা খুব কম সময়ে পার করেন রোহিত। আইপিএলে চোট পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সফরের বিমানে ঠাঁই পাননি। তবে ফাইনালের আগেই কামব্যাক করায় অস্ট্রেলিয়ার সফরে যাচ্ছেন তিনি। একিসঙ্গে আইপিএল চ্যাম্পিয়ান হয়ে ভারতীয় টিমের অধিনায়ককে একটা স্পষ্ট বার্তা আগে থেকেই দিয়ে রাখলেন হিটম্যান।

রোহিত মাঠে নামা মানেই একটা রেকর্ড ছোঁয়া। এদিন ছিল ২০০-তম ম্যাচ একিসঙ্গে ফাইনালে দ্বিতীয় পঞ্চাশ। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯, ২০২০ পাঁচ বার দলকে ট্রফি এনে দিলেন রোহিত। আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক যে তিনি তা বলার অবকাশ রাখে না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএলের প্রায় প্রতিটি ম্যাচে শিশিরের দাপট দেখা গিয়েছে। ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নিতে দুবার ভাবেনি শ্রেয়স। কিন্তু ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার ছিনিয়ে নেওয়া বোল্ট একাই তিন উইকেট নিয়ে দিল্লির গতি কমিয়ে দেন তিনি। শ্রেয়স আইয়ারের ৫০ বলে ৬৫রান এবং রিশব প্যান্টের ৩৮ বলে ৫৬ দলকে দেড়শো রান পার করতে সাহায্য করে। এদিন বোল্ট পেয়েছেন ৩টি উইকেট। মুম্বইয়ের প্রথম চারজন দুই অঙ্কের রান করেছেন। রো-হিট ৫১ বলে ৬৮ রানের মরুঝড় কুপোকাত করে দেয় দিল্লিকে। ১৮ওভার চার বলে ১৫৭ রান তুলে ফেলে মুম্বই। সেই সঙ্গে ৫উইকেটে জিতে নিল আইপিএল।

এক নজরে কে কি পেলেন
 কেএল রাহুল পেলেন অরেঞ্জ ক্যাপ।
 ৩০ উইকেট নিয়ে পার্পেল ক্যাপ পেয়েছেন রাবাডা।
 সুপার স্ট্রাইকার অন দ্যা সিজন পোলার্ড ১০লাখ।
 মোস্ট ভ্যালুয়েবেল প্লেয়ার রাজস্থান জোফরা আর্চার।
 পাওয়ার প্লেয়ার অফ দ্যা সিজন ১০লাখ। বোল্ট।
 আন একাডেমি সিক্সেস ঈশান কিশান ১০লাখ এবং ট্রফি।
 গেম চেঞ্জার পাঞ্জার কে এক রাহুল ১০লাখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *