‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে হাওড়া জেলায় সাড়ে ৫লক্ষের বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার আবেদন করেছেন বললেন তৃণমূলের মুখপত্র সুকান্ত পাল

হাইলাইট
❏ প্রথম দুটি পর্যায়ে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০৭ জন দুয়ারে শিবিরে পা ফেলেছেন
❏ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষজন চিকিৎসা করাতে বড় বড় নার্সিংহোমে যাবার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন
❏ তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম দিন ২তারিখ রাজ্যে অংশগ্রহণের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৩হাজার ৯০জন

দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সাফল্য সারা বাংলা নয় সারা দেশ জুড়ে, বললেন হাওড়া গ্রামীণ জেলার তৃণমূলের মুখপত্র সুকান্ত পাল। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সুকান্ত পাল বলেন, ” দুয়ারে সরকার কর্মসূচি মধ্য দিয়ে রাজ্যবাসির অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। গোটা রাজ্যে প্রথম দুটি পর্যায়ে ১কোটি ৫৬ লক্ষ ৭১হাজার ৭০৭ জন এই দুয়ারে শিবিরে পা ফেলেছেন।”

গত বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে দুটি পর্যায় সম্পূর্ণ। তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম দিন ২তারিখ রাজ্যে অংশগ্রহণের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৩হাজার ৯০জন। ৪৬৬ টি ইউনিটে ৩৪১ টি ব্লকে ১১৮ টি পৌরসভা ও ৭টি পৌরনিগমে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ১২ টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে। তিনি আরও বলেন, ‘দুয়ার’ পেরিয়ে এবার ‘পাড়ায় পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসন। এই পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মাধ্যমেই ছোট ছোট সমস্যার সুরাহা হয়ে যাবে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান হচ্ছে। এবার নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাগত সমস্যার সমাধান ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান হবে।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষজন চিকিৎসা করাতে বড় বড় নার্সিংহোমে যাবার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। হাওড়া জেলায় ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার আবেদন করেছেন ৫লক্ষ ৬১ হাজার ৩৪৯ জন। প্রতিটি ব্লক ও পৌর প্রশাসনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে এনরোলমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেতে শুরু করেছেন বহু মানুষ। জাতি শংসাপত্রর জন্য ২৫ হাজার ১৫৩ জন আবেদন করেছিলেন। ৬হাজার ১০৪ জনের হাতে ইতিমধ্যে জাতি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি শেষ হবার আগেই বাকিদের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে ৩৪৩ জন আবেদন করেছিলেন প্রত্যকের এপ্রুভ করে দেওয়া হয়েছে। জয় জহর প্রকল্পে একটাও আবেদন হয়নি। তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে ৪৫৬ জন আবেদন করেছেন ৩২৪ জন এপ্রুভ হয়েছেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ৫৪৫৩ জন আবেদন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ৪২৭২ জনের শিবিরে এপ্রুভ হয়েছে।