পুলিশ বলছে পরিবারের সদস্যদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অনু! মানতে নারাজ আত্মীয়রা

রাজন্যা নিউজ ডেস্ক

হাইলাইটস
❏ তপন থানার জামালপুরে একই পরিবারের পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার।
❏ চারজনের মাথায় গভীর ক্ষত।
❏ পারিবারিক অনুষ্ঠানের সপ্তাহখানেকের মধ্যে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
❏ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পারিবারিক অনুষ্ঠানের সময় টিনের ছাউনি বাড়ির দেওয়ালে আলপনা দেওয়া হয়েছিল। দেওয়াল জুড়ে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে সমস্তটা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার দক্ষিণ জামালপুর গ্রামে এই বাড়িতে ৫জনের রহস্যমৃত্যু ঘটে গিয়েছে। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫জনের দেহ। প্রত্যেকের দেহে চোট রয়েছে। হতবাক এলাকার মানুষজন।

বাড়ির পিছনে চাষের জমি। ধান জমির আল ধরে তদন্তে পৌঁছেছিলেন তপন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। এই জমিতে কৃষি কাজ করতেন অনু বর্মন। অসুস্থ থাকেলও পরিবারের সকলের দেহ উদ্ধার হতেই প্রশ্ন ঘুরছে সাদামাঠা জীবনের মানুষটিকে নিয়ে। মা, স্ত্রী, দুই মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। নাইলনের দড়ি ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে ৩২বছরের অনু বর্মণ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন অনু। পাশপাশি মানসিকভাবে বিব্রত ছিলেন। চারজনকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে অনু। যদিও পরিবার ও স্থানীয়রা মেনে নিতে পারছে না পুলিশের এই মত।

স্থানীয়দের কথায়, সকালে সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ঝুলছে অনু। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে চলে আসেন তপন থানার পুলিশের একটি টিম। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই মর্মান্তিক দৃশ্য। একে একে পড়ে রয়েছেন মা উলোবালা বর্মণ (৬০), অনু বর্মণের স্ত্রী মল্লিকা বর্মণ (২৮) এবং তাঁদের দুই মেয়ে বিউটি বর্মণ (১১) এবং স্নিগ্ধা বর্মণ (৭)। পাশে নাইলনের দড়িতে ঝুলছে বত্রিশ বছরের অনু বর্মণ। কদি’ন আগে বাড়িতে অনুষ্ঠান হয়েছে। তারপর কি এমন ঘটলো যে একসঙ্গে এতজনকে নৃশংস ভাবে মারা হবে। এটা পরিকল্পতি খুন হতে পারে এমনটাই আত্মীয়দের দাবি।

স্থানীয়দের মত, হতে পারে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে। তবে পুলিশের উচিৎ সমস্তটা তদন্ত করে দেখে আসল ঘটনা সামনে আনা। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করছে পুলিশ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।