বিদ্রোহী শুভেন্দুর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা

রাজন্যা নিউজ

সমস্ত জল্পনাকে সত্য করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কুড়ি দিনের মাথায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা। বুধবার বিকেলে বিধানসভায় পৌঁছে যান। সেখানে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় সচিবের কাছে লিখিত ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এরপরেই অধ্যক্ষকে মেল করে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূলের সঙ্গে আড়াই দশকের সম্পর্ক। দুই মেদিনীপুরে জোড়া ফুল ফুটিয়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তাঁর। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের জন্য ঝাঁপিয়ে ছিলেন তিনি। তারপরও দলের সঙ্গে ফাটল তৈরি হয়েছে। ফাটল এতটাই লম্বা হয় যে গত ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। আর এদিন বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বাকি থেকে গেল দলের সঙ্গে সম্পর্ক। সেটাও হয়তো শুক্র বা শনিবার ছেদ হতে চলেছে !

বেশ কয়েক মাস থেকে জল্পনা চলছিল। একাধিকবার অরাজনৈতিক মঞ্চে গিয়ে বিভিন্ন মতামত রেখেছেন তিনি। কখনোই দলের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তাঁকে দলে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি তৃণমূল। প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কথা বলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। পিকে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল কাঁথির বাড়িতে। তাও চিঁড়ে ভেজেনি। রাজ্য রাজনীতির ছবিটা বদলে যায় ২৭ নভেম্বর। মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে মনস্থির করে নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

বুধবার বিকেলে পৌঁছে যান বিধানসভায়। পদত্যাগ পত্র দিতে যান অধ্যক্ষর কাছে। সেইসময় বিধানসভায় ছিলেন না অধ্যক্ষ। সচিবের কাছে লিখিত ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু। এরপরেই অধ্যক্ষকে মেল করে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। এবার দেখার দল থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে দিল্লির বিমান কবে ধরছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *