বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে বাগনানে চলছে ১২ঘন্টার বনধ, বিরোধিতায় পথে নামলো তৃণমূল
কল্যাণ অধিকারী
হাইলাইটস
❏ বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ শুরু হয়েছে বাগনানে।
❏ থমথমে এলাকায় বন্ধ দোকানপাট।
❏ বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় রাস্তায় নামলেন বিধায়ক অরুণাভ সেন।
❏ অষ্টমীর রাতে গুলিবিদ্ধ বাগনানের বিজেপি নেতা বুধবার হাসপাতালে মারা যান।
❏ ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। ভাঙ্গচুর, টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ।
অষ্টমীর রাতে গুলিবিদ্ধ বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাঝি বুধবার হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১২ঘন্টা বনধ শুরু হয়েছে বাগনানে। দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগে বুধবার দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল। মূল অভিযুক্তের বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তিনি খুন হয়েছেন পাল্টা তৃণমূল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পেশায় ফুল ব্যবসায়ী ছিলেন কিঙ্কর মাঝি। বয়স ৫২। এলাকার বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। অষ্টমীর রাতে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। ঘটনার পরেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখান থেকে এনআরএসে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। বুধবার দুপুরে মারা যায় কিঙ্কর মাঝি।
দলিয় কর্মীর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই ১৬নম্বর জাতীয় সড়কে মনসাতলা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মীরা। টায়ার জ্বালানো হয়। হাওড়া গ্রামীণ বিজেপি জেলা সভাপতি শিবশঙ্কর বেজ দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাগনান থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে শিবশঙ্কর সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বিজেপির উত্থান দমাতে দলিয় কর্মীদের খুন করছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, মৃতের স্ত্রী এফআইআরে যাদের নাম উল্লেখ করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর খুন করার প্রবণতা চলতেই থাকছে। এই ঘটনার জবাব মানুষ নির্বাচনে দেবে।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, ২০১৮সালে বাগনানের ন’পাড়া এলাকায় গুলি করে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে৷ চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বাগনানের কড়িয়া গ্রামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল আরও এক তৃণমূল নেতাকে। সবাই জানে কারা এসব করছে। তাদের লক্ষ্য শান্ত বাগনানকে অশান্ত করা। সেই চেষ্টা চালাচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতারা। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। কোনভাবেই ওই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেইমতন বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। রাজ্যের পরিস্থিতি সবিস্তারে আজ বৃহস্পতিবার শাহের কাছে তুলে ধরবেন তিনি। রাজনৈতিক হানাহানির বিষয়টিও উঠতে চলেছে।