রিহা চক্রবর্তী বিষয় আরও আটঘাট বাঁধছে সিবিআই

কল্যাণ অধিকারী

সুশান্ত-মৃত্যু নিয়ে রিহা চক্রবর্তী কতটা জড়িত প্রশ্ন প্রথম থেকেই উঠছিল। তদন্তকারী টিম সিবিআই কোমর বেঁধে শুরু করেছে তদন্ত। একাধিক বার রান্নার লোক নীরজ ও সিদ্ধার্থ পিঠানি কে নিয়ে সুশান্তের ফ্ল্যাটে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছে টিম সিবিআই। পুরো তথ্য জোগাড় করে তারপর রিহাকে ডেকে পাঠানো হবে সিবিআই দপ্তরে। গ্রেফতার করাও হতে পারে!

দেশের সবচেয়ে বড় তদন্তকারী সংস্থা যে বিষয়টি নজর দিচ্ছে তা সুশান্তের মৃত্যু। কীভাবে মৃত্যু হল। যেখানে দেহ মিলেছে তার থেকে বিছানার দূরত্ব ঠিক কতটা। মৃত্যু যদি অস্বাভাবিক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পরিচিতদের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য জোগাড় করা। নীরজ, সিদ্ধার্থ পিঠানি আর পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত কাছের এই তিন জনের কাছ থেকে যে বয়ান মিলবে তা থেকে ঘটনার অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তিন জনের বয়ানে অনেকটাই ফারাক। কোনভাবে তদন্ত কে অন্য দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে! দ্বিতীয়ত সুশান্তের একটি একাউন্ট থেকে ১৫কোটি টাকা সরানো হয়েছে। তদন্তকারী টিম খোঁজ খবর নিচ্ছে ১৫ কোটি টাকা কোথায় গেল। এত বড় অঙ্কের টাকার রহস্য কি। কোথায় গেল সেই টাকা। ওই টাকা কার কার পকেটে কত করে গেছে। পরিবারের দাবি টাকা সরিয়েছে রিহা চক্রবর্তী। রিহা সুশান্ত্র কে পুরো কন্ট্রোলে রেখেছিল। সমস্ত টাকা উড়িয়েছে রিহা চক্রবর্তী! অফিস খরচের নামে ক্যাস টাকা তোলা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ সুশান্তের পরিবারের উকিলের।

তৃতীয়তঃ মুম্বাইয়ে ওয়াটার স্টোন রিসর্ট-এ দুমাস ছিলেন রিহা সুশান্ত। সেখানে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে সুস্থতা হচ্ছিল সুশান্তর। কতটা প্রয়োজন ছিল এই আধ্যাত্মিক সাধনার। ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে সুস্থতার জন্য। মুঠো মুঠো টাকা ওড়ানো হয়েছে। এখানেই শেষ হয়নি। ইতালি গিয়ে ৬০০ বছর পুরনো হোটেলে উঠেছিলেন রিহা-সুশান্ত। সেখানে একটি ছবি দেখে সুশান্তের মধ্যে পরিবর্তন আসে। এরপর-ই মুম্বাইয়ে ওয়াটার স্টোন রিসর্ট-এ দু’মাস ছিলেন রিহা সুশান্ত। ওখানে নাকি সুস্থতা চলছিল। সিবিআই তদন্ত করে দেখছে। রিহা কে জেরা করার প্রশ্নমালা তৈরি করার কাজ চলছে। খুব শীঘ্র সমন জারি হতে পারে রিহা চক্রবর্তীর নামে। কিন্তু তার আগে নীরজ, সিদ্ধার্থ পিঠানি আর পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত কে দিয়ে ঘটনার সমস্তটা তৈরি করে নেওয়ার কাজ চলছে। একি সঙ্গে ১৪ জুন চাবিওয়ালা কে দিয়ে তালা ভাঙার ঘটনার পুরো তথ্য যাচাই করে নেওয়া।

রিহা চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রভাবশালী মহেশ ভাটের সম্পর্ক। ইতিমধ্যে মেসেজ আদান প্রদান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। তদন্তকারী টিম রিহা চক্রবর্তীর ফোন যাচাই করেছে। ইউরোপ গিয়ে কতটা প্রাণোচ্ছল ছিল সুশান্ত। কেনই বা মহেশ ভাট এতটা খোঁজ খবর রাখতেন। সবটাই তদন্তের স্বার্থে খতিয়ে দেখে সমন জারি হবে রিহার প্রতি। আপাতত নিজের বাড়িতেই রয়েছেন রিহা চক্রবর্তী। সমন জারি করলে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। ঠিকঠাক উত্তর না দিলে গ্রেফতার হতে হবে রিহা চক্রবর্তী কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *