অনিয়মিত গাজিপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক, সমস্যায় ১০০দিনের শ্রমিকরা পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
❏ গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক নিয়মিত না আসায় উন্নয়ন হচ্ছে না
❏ স্কিম পাস না হওয়ায় ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছে না শ্রমিকরা
❏ ক্ষুদ্ধ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ শ্রমিকরা ঘেরাও করল গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত

গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বছর খানেক ধরে নিয়মিত আসছেন না এনএস(নির্মাণ সহায়ক)। দীর্ঘদিন কাজ না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন ১০০দিনের কাজ করা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখালেন পঞ্চাশ-ষাট জন শ্রমিক।

পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও শ্রমিকদের অভিযোগের তীর গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পুলকেশ নন্দ গোস্বামীর দিকে। তাঁদের কথায়, উনি নিয়মিত পঞ্চায়েতে আসে না। দশ শতাংশ হাজিরা নেই। যে দিন মনে হয় আসবেন দুপুর দুটোর সময় আসেন। ফলে ১০০ দিনের কাজে গ্রামের স্কিম না হওয়ায় কাজ পাচ্ছেন না ১০০দিনের কাজ করা শ্রমিকরা। দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ধরে এই অচলাবস্থা চলছে। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাল ১০০দিনের কাজের শ্রমিক ও পঞ্চায়েত সদস্যরা।

গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই নির্মাণ সহায়ক আসেন সাঁতরাগাছি থেকে। এদিন দেখা গেল বেলা বারোটার সময়ও আসেননি। কোনও সপ্তাহে একদিন আসেন। আবার কোন সপ্তাহে আসেন না। উনি অসুস্থ তাই আসতে নাকি পারেন না। ফলে গ্রামের উন্নয়ন মূলক কাজের স্কিম তৈরি হচ্ছে না। স্কিম না হওয়ায় লকডাউনের পর থেকে ঠিকঠাক কাজ পাচ্ছেন না ১০০দিনের শ্রমিকরা। কাজ না পেয়ে পঞ্চায়েতে আসছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছেও অভিযোগ জানাচ্ছন তাঁরা। বিষয়টি জানানো হয়েছে আমতা-২ বিডিও এবং জেলাশাসককে। এমনটাই জানান পঞ্চায়েত প্রতিনিধি কুশ রায় এবং সোফিয়ার মল্লিক।

নির্মাণ সহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে ওঁনার বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। সাঁতরাগাছিতে থাকেন। শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে। সপ্তাহে একদিন হলেও আসেন। এ বিষয় গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ১০০দিনের শ্রমিকদের দাবি, আর্থিক সমস্যায় অসহায় পরিস্থিতি তাঁদের। নির্মাণ সহায়ক নিয়মিত কাজে যোগ দিন। স্কিম বানিয়ে ১০০দিনের কাজ দ্রুত শুরু করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *