আদিবাসী শিশুদের হাতেকলমে শিক্ষা হাওড়া জেলা লোক সাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্র সমীক্ষা-র সদস্যদের

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
❏ অনলাইন সুবিধা না থাকায় পড়াশোনার সুবিধা নেই
❏ শিশুদের হাতেকলমে শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে আসলেন সদস্যরা
❏ পড়াশোনার জন্য আদিবাসী পাড়ায় আইসিডিএস সেন্টার বানানোর প্রয়াস

আমতার খড়িয়প গ্রামের আদিবাসী পরিবারের চল্লিশ জন শিশুদের সঙ্গে বড়দিনের সকাল টা ভাগ করে নিল “হাওড়া জেলা লোক সাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্র সমীক্ষা” গ্রুপের সদস্যরা। মা-বাবা সকাল হলেই বেরিয়ে যায় কাজে। খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানো আর শিক্ষার আলোয় না থাকা শিশুদের পথের দিশা দেখাতে এগিয়ে আসল গ্রুপের সদস্যরা।

জানা গেছে, শোরেন-হাসদা-মান্ডি-মুর্মু-বাগচি-মুন্ডা, সিং মিলিয়ে পঁয়ত্রিশটা পরিবার গা ঘেঁষা ঘরে বসবাস করে। মোট ২২-২৩ টা ঘর। ঘর বলতে মাটির দেওয়াল দেওয়া ত্রিপলের ছাউনি। ন্যাতা টানা মাটির মেঝে। উচ্চতায় মেরেকেটে তিন ফুট। আমতার খড়িয়প গ্রামের আদিবাসী পরিবারের চল্লিশ জন শিশুদের শিক্ষার খোলনলচে বদলাতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। একি সঙ্গে গ্রুপের সদস্যরা প্রত্যেক শিশুর হাতে কেক তুলে দেয়।

হাওড়া জেলা লোক সাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্র সমীক্ষা গ্রুপের পক্ষ থেকে দীপিকা অধিকারী জানান, “যেহেতু আদিবাসী পরিবারের শিশুদের কাছে কোনপ্রকার কম্পিউটার নেই। অনলাইন শিক্ষা তাঁরা পাচ্ছে না। হাতে কলমে শিক্ষার বিষয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওঁদের বাড়ির কাছাকাছি একটি আইসিডিএস সেন্টার গড়ে তোলার বিষয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সর্বত্র অনইলাইন ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু এদের তো সেই সুযোগ সুবিধা নেই। তাই আদিবাসী শিশুদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে এগিয়ে আসল হাওড়া জেলা লোক সাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্র সমীক্ষা-র সদস্যরা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *