গণ পরিবহণে পাশের সিটে বসা ব্যক্তির মুখে মাস্ক নেই, প্রতিবাদ করলেই জুটছে তিরস্কার

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
বাড়ছে রাজ্যজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
পাল্লা দিয়ে কমছে মাস্ক ব্যবহার করার সংখ্যা।
মাস্ক না ব্যবহার করলে ‘পেট্রোল, ওষুধ মিলবে না’ ফর্মুলা বাজারে এখন উধাও।
গণ পরিবহণে পাশের সিটে বসা ব্যক্তি মাস্ক পড়ে নেই।
মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দিল পরিবেশপ্রেমী।

সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন গ্রামীণ হাওড়ার মহকুমার সদর দফতর উলুবেড়িয়া। গাড়ি চালক থেকে সাধারণ মানুষের একটি বৃহত্তর অংশের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৭ জন। সচেতনতামূলক প্রচার করছে স্বাস্থ্য দফতর। তারপরও খোদ মহকুমার সদর দফতর উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে বহুক্ষেত্রে অনীহা ধরা পড়ছে।

সোমবার বেলায় কর্মসূত্রে উলুবেড়িয়া গিয়েছিলেন পরিবেশবিদ জয়িতা কুন্ডু। মাস্ক ব্যবহারে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনপ্রকার আগ্রহ নেই তা লক্ষ্য করেন। তিনি জানান, “হাট-বাজার, ব্যাঙ্ক, পরিবহণ সর্বত্র লোকজনের উপস্থিতি বেড়েছে। কিন্তু মাস্ক ব্যবহার ঠিক ততটাই কমেছে। অটোয় চালক ও পাশে বসা আরোহী অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। জিজ্ঞাসা করলে পাল্টা প্রশ্ন উড়ে আসছে আপনি পড়েছেন এটাই যথেষ্ট, আমাদের মাস্কের প্রয়োজন নেই। একিসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না কোথাও। মাস্ক না পড়ে গেলেও দোকানে মালপত্র মিলছে। ফলে মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহ যথেষ্ট হারে কমছে।”

এরপরেই তিনি পৌঁছে যান মহকুমা শাসকের অফিসে। সমস্ত বিষয়টি সাদা কাগজে লেখেন তিনি। জমা দেন মহকুমা শাসকের কাছে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, করোনা আবহে রাস্তাঘাট, অটো, বাস প্রভূতি যানবাহনে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। দুর্গাপুজোর পর উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকায় করোনা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে শ্যামপুর, বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা শহরে। যে সমস্ত যাত্রীরা পরিবহণের সাহায্য নিচ্ছেন তা সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হচ্ছে না। সুদূরপ্রসারী সমস্যায় পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।    

‘মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির’ প্রধান জয়িতা কুণ্ডু একা নয় বাসে, অটোয় মাস্ক না ব্যবহার করা ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার করতে বললে রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে বহু প্রতিবাদীকে। করোনা ভাইরাস এড়াতে মাস্ক পরা খুবই জরুরি। কিন্তু কর্নপাত করে কয়জন। বেলুড়ের বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া তনিমার কথায়, বাসে বা অটোয় মাস্ক পড়ে যাতায়াত করলেও পাশের সিটে বসা ব্যক্তি মাস্ক পড়ে নেই। এতে করে বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একা তনিমা নয় গণ পরিবহণে যাত্যাত করা সাধারণ মানুষদের সমস্যা পাশে থাকা ব্যক্তিকে মাস্ক ব্যবহারে রাজি করানো।

মাস্ক না ব্যবহার করলে ‘পেট্রোল, ওষুধ মিলবে না’ ফর্মুলা বাজারে এখন উধাও। প্রশাসন যথাযথ ফাইনের ব্যবস্থা করলে তবেই বাসস্থানের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারে প্রবণতা বাড়বে এমনটাই সাধারণ মানুষের মতামত।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *