দ্বিতীয় দিনের ভোট প্রচারে তেজস্বীকে আক্রমণ মোদির, বললেন ‘জঙ্গল-রাজ-কি বাদশা’

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
বিহারে জঙ্গলরাজ ফিরিয়ে আনতে দেবেন না তিনি ভোটপ্রচারে বললেন মোদি।
বুধবার ৩টি জনসভা থেকে আক্রমণের লক্ষ্য সেই লালুপ্রসাদের পরিবার।
১০লাখ চাকরি নিয়ে বললেন সরকারি বাদ দিন বেসরকারি কোম্পানিও নয় দো গেরা হয়ে যাবে।
অযোধ্যা নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন শেষ হয় জঙ্গলরাজে।
৫৩.৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে প্রথম দফার ভোটে। মুঙ্গেরে ভোট পড়েছে কম। বেশি বাঁকা এলাকায়।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট প্রচারে বুধবার বিহারে আসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিনে তিনটি সভা করলেন তিনি। বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে বললেন ‘জঙ্গলরাজ কা বাদশা’। ঈশারা যে তেজস্বী যাদবকে করা হয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। তিনি আরও বলেন, “পয়সা হজম পরিযোজনা খতম। জঙ্গলরাজ আনাদের আবারও হারাব। জঙ্গলরাজ আসলে মহামারি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।”

নরেন্দ্র মোদি এদিন প্রথমে যান দ্বারভাঙ্গা। সেই সময় রাজ্যে চলছে প্রথম দফার ভোট প্রদান। ভোট প্রচার করে এরপর ওখান থেকে ৬২কিমি দূরের প্রকাশ্য সভা মুজাফফরপুর পৌঁছান। তখন ভরা দুপুর। তারপর প্রান্তিক গ্রন্তব্য ছিল ৭২কিমি দূরের পাটনা। তিনি বলেন, “লুঠ, অপহরণ করা জঙ্গলরাজ সরকারকে পরাস্ত করবো।” একদিকে লালুপ্রসাদ সময়কার সরকারকে আক্রমণ শানান। অন্যদিকে বিকাশের নামে কেন্দ্রের সরকারের হিসাব তুলে ধরেন। তিনি পাটনার জনসভায় নিতিশ কুমারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, “নিতিশ কুমার রাজ্যে বিপুল কাজ করেছেন। বিহারে এখন লন্ঠনের অন্ধকার শেষ হয়ে গিয়েছে। বিহারে নিতিশজি কি সরকার উন্নয়নকে অনেক আগে নিয়ে গিয়েছে।” এরপরেই তেজস্বীর ১০লাখ চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারি বাদ দিন বেসরকারি উদ্যোগও পালাবে। সব হাওয়া হাওয়া বাতে।”

বিহারে প্রতিদিন ১০টির উপর জনসভা করছেন তেজস্বী। প্রতিটি সভায় ভিড় উপচে পড়ছে। যুবদের ভিড় চোখে পড়ার মতন। এদিন সকাল ৭টা থেকে প্রথম দফার ভোটপ্রদান শুরু হয়। চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে তিনটি জনসভা করেন। কোন সভা থেকেই তেজস্বীর নাম নেননি তিনি। তবে ঈশারায় ছিল আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ২০০৫ সাল পর্যন্ত লালু-রাবড়ির সরকার ছিল। বিরোধীরা ওই সময়কে জঙ্গলরাজ বলে থাকে। তারপর ক্ষমতায় আসে নিতিশ কুমার। পনেরো বছর ধরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পুরনো দিনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “লুঠ, অপহরণ করা জঙ্গলরাজ সরকার আসতে দেব না।” এরপর তিনি বলেন, “নিতিশজি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলজি। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার আর বিহারে নিতিশজি সরকার মিলে কোশী মহাসেতুর কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর তিনটি সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন। তারপরও বিজেপির চিন্তা তেজস্বীর জনপ্রিয়তা নিয়ে। তাই লালু-রাবড়ির সময়কার বিহার নিয়ে টিপ্পনি দিয়ে বলেন, “জঙ্গল-রাজ-কি বাদশা।” বিরোধীদের প্রত্যাঘাত ফিরে এসেছে সময়মতন। বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে নীতিশ কুমারকে অনেক আগেই সরিয়ে দিয়েছে। নভেম্বর মাসের ১০তারিখ রাজ্যবাসী লাগিয়ে দেবে মোহর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *