দ্বীপাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধে দাঁড়িয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ফোনে কথা বিডিও’র
কল্যাণ অধিকারী
মঙ্গলবার ভাটোরা চিতনান এলাকার ভেঙে পড়া নদী বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান আমতা-২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক আসিফ ইকবাল। ঘটনাস্থল থেকেই এসডিও এল ডি ওয়ান ইঞ্জিয়ারের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। কীভাবে নদী বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব তা খতিয়ে দেখেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার কোটালে জলচ্ছ্বাসের কারণে রুপনারায়ণের উত্তর দিকের পাড় উপচে এবং বাঁধ ভেঙে জল ঢোকে ভাটোরা-চিতনান গ্রামে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নদী বাঁধ নজরদারি নিয়ে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ ছিল নদীর নাব্যতা কমেছে। জল ধারণ ক্ষমতা কমেছে। বাঁধ উঁচু করা হয়নি । যে কারণে ফি বছর বন্যার জল গ্রামে প্রবেশ করে। এই বিষয় নিয়ে আসিফ ইকবাল জানান, আমরা মাস খানেক আগে থেকেই নদী বাঁধ সারাইয়ের জন্য কথাবার্তা শুরু করেছিলাম। কিন্তু কোন কারণে বিষয়টি ইরিগেশন দপ্তর থেকে ছাড়পত্র মেলেনি। এবারে বৃষ্টি এবং অমাবস্যা কোটালে প্রবল জলচ্ছাসের কারণে নদীর রূপ পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধে। এখানে প্রতি বছর নদীর জল বাঁধ টপকে গ্রামে ঢোকে। বিষয়টি নিয়ে পাকাপাকি ভাবে কাজ করার আলোচনা চলছে।
এদিন ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধ থেকেই একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেন। কৃষি জমি ডুবে যাওয়ায় কৃষিজ ফসলের ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা৷ এ বিষয় কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা বলেন তিনি৷ আসিফ ইকবাল জানান, এখনও গ্রামে জল জমে রয়েছে। এই জল কীভাবে বের করা সম্ভব তা আলোচনা চলছে। নদী বাঁধে মাটি এখন নরম পাকাপোক্ত ভাবে কাজ কীভাবে করা সম্ভব সে বিষয় ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরো আলোচনা করে কাজ শুরু করা হবে। অন্যদিকে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা জানান, ভাটোরা এলাকা ঘুরে দেখেছেন বিডিও। কৃষি ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতির রিপোর্ট ওঁনার কাছে জমা দেওয়া হবে। যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ মূলত ধান সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।