পরীক্ষিত সংগ্রামী নেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন, শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন বিধায়ক অসিত মিত্র
কল্যাণ অধিকারী,
❏ লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব সামলে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এতে আমি আনন্দিত। তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
❏ শুধু মুর্শিদাবাদের মাটিতে নয়, রাজ্য ছাড়িয়ে লোকসভায় পৌরোহিত্য করছেন অধীর বাবু।
❏ সোমেন দা মারা গেছেন কিন্তু তার আগে পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন, কথা বলেছেন।
❏ এবার অধীর বাবুর নেতৃত্বে আরও সুন্দর ভাবে জোটের কাজ চলবে।
❏ সামনের যে নির্বাচন আসছে তাঁর নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের সমস্ত যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্বকে একটা জায়গায় সংঘবদ্ধ করতে হবে।
কংগ্রেস গণতান্ত্রিক দল। অধীর বাবু সেই দলের একজন পরীক্ষিত সংগ্রামী নেতা। শুধু মুর্শিদাবাদের মাটিতে নয়। এর আগেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তিনি। সেখানেও তাঁর যোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। আবার লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা। সেই দায়িত্ব সামলে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এতে আমি আনন্দিত। তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ায় শুভেচ্ছা জানালেন আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অসিত মিত্র।
বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের হাল ফেরাতে গুরুদায়িত্ব সপে দেওয়া হয়েছে মমতা বিরোধী বলে পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাতে। বাম-কংগ্রেস জোট তবে কি সমান্তরালভাবে এগোবে এ বিষয় অসিত মিত্র জানান, কংগ্রেসে বিভিন্ন সময় বা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্তরে যোগ্যতা নির্ধারণের মাধ্যমে দলনেতা নির্ধারণ হয়। সামনের যে নির্বাচন আসছে অধীরবাবুর নেতৃত্বে এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সমস্ত যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্বকে একটা জায়গায় সংঘবদ্ধ করা। একিসঙ্গে বামপন্থী এবং কংগ্রেসের জোটকে আরও শক্তিশালী করে আগামী দিনে জয়লাভের পথ দেখাবেন তিনি। এর আগে সোমেন দা জোটের পক্ষে কথা বলেছেন। সোমেন দা মারা গেছেন তার আগে পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন, কথা বলেছেন। জাতীয় কংগ্রেস তো গণতান্ত্রিক দল। এবার অধীর বাবুর নেতৃত্বে আরও সুন্দর ভাবে জোটের কাজ চলবে।
আরও পড়ুনঃ
অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট সম্ভাবনায় দাঁড়ি টেনে দেওয়া হল। যদিও রাজনীতিতে শত্রুতা ভুলে সৌজন্যের রাজনীতি বহুবার দেখেছে দেশ। আদৌ বদলাবে কি কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক তা ভবিষ্যৎ বলবে। নিজের দরমার অফিসঘরে বসে অসিত মিত্র বলেন, তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই দিতে অধীর চৌধুরী প্রস্তুত। লোকসভায় স্পিকার নির্বাচনের পর অধীর বাবু ভাষণে বিরোধী বেঞ্চ এবং ট্রেজারি বেঞ্চকে মুগ্ধ করেছিলেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মিটলে কংগ্রেস প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী অসিত মিত্রের সমর্থনে শ্যামপুরের শশাটিতে নির্বাচনী সভায় এসেছিলেন অধীরবাবু। অসিত মিত্রকে পাশে নিয়ে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। যদিও ওই নির্বাচনে অসিত মিত্র বিপুলভাবে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে একুশের ভোটে লড়াই দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে।