প্রয়াত জঙ্গলমহলের ডাক্তারবাবু এবং ডেপুটি স্পিকার ডাঃ সুকুমার হাঁসদা

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
❏ ৬৬বছর বয়সে প্রয়াত হলেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ডাঃ সুকুমার হাঁসদা।
❏ দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
❏ বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার প্রয়াত হন তিনি।
❏ তাঁর প্রয়াণে টুইট করে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রয়াত হলেন ঝাড়গ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ডাঃ সুকুমার হাঁসদা। এদিন বেলা ১১টা পনেরো মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। জঙ্গলমহলে তৃণমূলের প্রভাব বাড়াতে অনবদ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তবে শেষ দুবছরে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে ধাক্কা খায়। সংগঠনেও দুর্বলতা ধরা পরে। এরপর থেকেই দলের সামনের সাড়ি থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফির মৃত্যুর পর ডেপুটি স্পিকার হিসেবে সুকুমার হাঁসদাকে নিয়ে আসেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে জঙ্গলমহলে আসলে সুকুমার হাঁসদা সবসময় থাকতেন। এদিন তাঁর প্রয়াত হবার খবরে আবেগপ্রবণ টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “উপ-স্পিকার ও ঝাড়গ্রাম বিধায়ক শ্রী সুকুমার হাঁসদা মারা যাওয়ার কথা শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এআইটিসির রাজ্য সহ-সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। মানুষের জন্য তাঁর নিরলস পরিশ্রম সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি আমার সমবেদনা।”

জঙ্গলমহলের মানুষের উন্নয়নের জন্য সাইকেল নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যেতেন সুকুমার বাবু। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা, রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কেন্দ্র সরকারের রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সভা, পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ মিছিল, কোল ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে জেলায় সভা করেছেন তিনি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনমুখী প্ৰকল্পগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সভা করেছেন ডাঃ সুকুমার হাঁসদা। জঙ্গলমহলের মাটিতে দলের ভীত পোক্ত করতে দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে জেলাজুড়ে শোকের পরিবেশ।

সুত্রের খবর বেশ কয়েক বছর ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চলছিল চিকিৎসা। চলতি মাসের ১০তারিখ থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পনেরো মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।