বিধানসভা ভোটের আগে সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে টানার বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ
কল্যাণ অধিকারী
হাইলাইটস
❏ বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
❏ সেহাগড়ীতে প্রায় ২২মিনিটের বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ।
❏ সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়, কেন তাদের ছেলেরা উকিল হবে না!
❏ আসার কথা থাকলেও আসলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু।
আমতা বিধানসভার সেহাগড়ীতে এসে বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন এখানের মানুষ জিজ্ঞাসা করছে পঞ্চায়েত ভোট দিতে পারিনি। বিধানসভা ভোট দিতে পারবো তো? আমি তাদের আশ্বস্ত করছি। মোদিজি আছেন। অমিত শাহ আছেন। ভোটের সময় চিন্তা করতে হবে না। আগামী বিধানসভা ভোটে দিদিমণির পুলিশ রাস্তায় বসে চা-খৈনি খাবে। সেন্ট্রাল ফোর্স আসবে ভোট করাতে।
এদিন সেহাগড়ী ফুটবল মাঠে প্রায় ২২মিনিটের বক্তব্যে দিলীপ ঘোষ সংখ্যা লঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। তিনি বলেন এখানে সংখ্যালঘুদের ভোটার বানিয়ে রাখা হচ্ছে। এখানকার সংখ্যালঘুরা সবুজ সাথীর সাইকেল নিতে তৃণমূল নেতাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আপনারা জানেন গুজরাটে মুসলিম ভোটারদের ভোট পেয়ে বিজেপি সরকার দীর্ঘ ২৫বছর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এখানে আপনারা ভোট দিয়ে বিজেপির সাথ দিন। এদিন থলিয়া, ভাটোরা-দ্বীপাঞ্চল এলাকার বহু পরিবার বিজেপিতে যোগ দান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন দিলীপ ঘোষ।
এরপরেই তিনি কিছুটা আনুগত্য হয়ে বলেন, আপনারা আমাদের কোনদিন ভোট দেননি। উনিশে ভোট দিয়েছেন তাই আমাদের এতগুলো সাংসদ দিল্লিতে পৌঁছেছে। এখানে সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কেন তাঁদের ছেলেরা উকিল হবে না! কেন তাঁদের ছেলেরা প্রফেসর হবে না! পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃত পরিবর্তন আনবে বিজেপি। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াবে বিজেপি সরকার। এরপরেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, দিদিমণি কেন্দ্রের চাল কে নিজেদের বলে চালাচ্ছে। আমপানের দু’দিন পর হাজার কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী দিলেন। নিজের দলের ভাইদের টাকা দিয়ে দিলেন। বলুন তো আপনারা কেউ পেয়েছেন উপস্থিত জনতা সমস্বরে বলে ওঠে না।
সেহাগড়ীর সভায় লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু আসার কথা থাকলেও আসেননি তাঁরা। সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতন। বিধানসভা ভোটের আগে ভোট পেতে সেই সংখ্যালঘুদের স্মরণাপন্ন হতে হল দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি কার্য কর্তারা। এদিন দিলীপ ঘোষ প্রায় পাঁচ কিমি হুডখোলা গাড়িতে চড়ে আসেন। তবে তিনি আসেন প্রায় দেড় ঘন্টা দেরি করে। তাঁর আসার অপেক্ষায় ফুল, চন্দন হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলা কর্মীরা। মঞ্চে ওঠার আগে শহিদ স্তম্ভে মাল্যদান করেন। তারপর মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। মঞ্চে বিশাল গাঁদা ফুলের মালা সহ স্বাগত জানান কার্যকর্তারা।