‘লাকি’ নন্দীগ্রামে প্রার্থী তিনি তেখালির সভায় ঘোষণা করলেন মমতা
কল্যাণ অধিকারী, নন্দীগ্রাম
হাইলাইটস
❏ একুশের বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হচ্ছেন নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুরে
❏ জমি রক্ষার মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর ঘোষণা রাজনৈতিক জয় দেখছে দল
❏ মাস্টারস্ট্রোক মমতার মানছেন রাজনৈতিক মহল
‘আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়’ প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলেন লক্ষাধিক জনতার দিকে। সমস্বরে জনতার জবাব, দিদি আমরা তোমার পাশে আছি। মমতার কথায়, নন্দীগ্রাম তাঁর আবেগের। নন্দীগ্রাম তাঁর সৃষ্টির। নন্দীগ্রাম তাঁর হৃদয়ে। নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই শুরু করছেন একুশের পথ চলা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান নন্দীগ্রামে। মঞ্চে থাকা সুব্রত বক্সির কাছে আবেদন জানান তিনি। মাইক হাতে দিদির কথাকে একবাক্যে স্বাগত জানালেন তিনি। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মানুষকে ভোলেননি। এমন ব্যবধানে জেতাবেন স্বর্ণালী অক্ষরে লেখা থাকবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তেখালি ব্রিজের পাশে বিশাল মাঠে লক্ষ মানুষের থিকথিকে ভিড়। হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রামে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর পৌঁছানোর অনেক আগে থেকেই মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জনসভা শুরুর আগে নন্দীগ্রামে নিখোঁজদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মঞ্চে ওঠেন। নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার টান লাখো জনতার সামনে জানান তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তাঁর ভূমিকা কি ছিল বিজেপিতে যোগদানের পর বিভিন্ন সভামঞ্চে শুভেন্দু বলেন। এদিন সেসবের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল নেত্রী।
একুশের বিধানসভা ভোটে মমতার নন্দীগ্রামে লড়াই মস্ত চ্যালেঞ্জ দিলেন শুভেন্দুকে। বিজেপিতে যোগদানের পর একুশের নির্বাচন শুভেন্দুর কাছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মমতার প্রার্থী হওয়া চাপ আরও বাড়ল। অধিকারী পরিবারের বিপরীতে অবস্থান রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির। ফলে লড়াইয়ের ময়দান জমে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরে। শুভেন্দুর দলত্যাগ ভালো ভাবে নেয়নি জমি লড়াইয়ের পীঠস্থান। এবার সরাসরি দলনেত্রী নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার খবরে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক আকাশে সবুজ মেঘ উড়তে শুরু করল মত রাজনৈতিক মহলের।