ঘাতক ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কা স্কুলভ্যানে আশঙ্কাজনক ১ শিশুর মৃত্যু শোকের ছায়া গ্রামে

কল্যাণ অধিকারী

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা হল না কেজি ওয়ানের ছাত্রীর। ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় স্কুল ভ্যান। আহত ১৪ শিশুর মধ্যে আশঙ্কাজনক এক শিশুর মৃত্যু হল শুক্রবার বিকেলে। ঘটনার পরেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে আমতা-২ ব্লকের হানিধাড়া গ্রামে। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার পাঠানো হবে উলুবেড়িয়া এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবানীপুরের একটি কেজি স্কুলে পড়াশোনা করে হানিধাড়া সহ একাধিক এলাকার পড়ুয়ারা। শুক্রবার বেলায় ছুটির পর শিশুদের মারুতি ভ্যানে চাপিয়ে প্রতিদিনের মতো ফিরছিলেন চালক। উদয়নারায়ণপুর-সেহাগড়ি সড়কে খড়িবন এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে মারুতি ভ্যানে। দুমড়েমুচড়ে যায় ভ্যানের ডান দিকের অংশ। আহত ও আতঙ্কিত পড়ুয়াদের উদ্ধারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তখনি বছর ছয়ের ঈশা কোলে নামে এক শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বরদা নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ছুটে আসেন অভিভাবকেরা। নিজ উদ্যোগে শিশুদের প্রাথমিক সুস্থতার পর বাড়ি ফেরেন।

হানিধাড়া গ্রামের আহত শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হানিধাড়া গ্রামের চার শিশু ছিল ওই গাড়িতে। গুরুতর আহত এক শিশুকে নার্সিংহোম থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। কলকাতায় যাবার পথে রাস্তাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মুহুর্তে গ্রামের কান্নার রোল ওঠে। প্রতিদিন ওরা হাসতে হাসতে গাড়ি থেকে নামে। কিন্তু এ দিন গাড়িতে ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কায় সব শেষ হয়ে গেল। স্থানীয়দের কথায়, ইঞ্জিন ভ্যানে অনেক মালপত্র ছিল। গতিতে যাওয়ার ফলে ঘাতক ইঞ্জিন ভ্যানটি নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেনি। মারুতিকে ধাক্কা মেরে অন্য একটি ইঞ্জিন ভ্যানে এবং বাইকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। এলাকার মানুষজন ছুটে এসে আহত শিশুদের উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকাটি উদয়নারায়ণপুর থানার মধ্যে পড়ে। মৃত শিশুটির বাড়ি জয়পুর থানার হানিধাড়া গ্রামে। পরিবারের কাছে ছুটে যায় জয়পুর থানার পুলিশ। সমস্তরকমের সাহায্য করা হচ্ছে। শনিবার ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *