বৃষ্টিতে ভাসছে মুম্বই মৃত ১২, বিপর্যস্ত রেল-বিমান পরিষেবা
ব্যুরো রিপোর্ট রাজন্যা নিউজ
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বহু শহর ও জেলা। বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের সমস্ত ßুñল-কলেজ বন্ধ। একের পর এক রাস্তা, আন্ডারপাস চলে গিয়েছে জলের তলায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাছ পড়ে, বাড়ি ভেঙে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাড়ির বাইরে বের না হন সেই নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সমুদ্র সৈকতগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকটি দিন সেখানে যেতে পারবেন না পর্যটকরা। সোমবার থেকে চব্বিশ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মুম্বই পূর্বের শহরতলি অঞ্চল ভিক্রোলীতে। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ২৫৫.৫ মিলিমিটার।
শুক্রবার থেকে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মুম্বই ও সংলগ্ন অঞ্চলের জন্য লাল সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুৎ’সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলায় আবহাওয়ার বিশেষ উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুরলা, চেম্বুর ও আন্ধেরী অঞ্চল।
ভারী বৃষ্টির কারণে থমকে গিয়েছে লোকাল ট্রেনের চলাচল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন লাইনে ট্রেন দেরিতে চলে। বেলা যত বেড়েছে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রেল পরিষেবা দীর্ঘক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়। একই ভাবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য ১৪টি বিমান মঙ্গলবার সকাল থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামতে পারেনি। এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য বিমানের সময়সূচিতেও।
এদিকে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মেরিন ড্রাইভ, ওরলি, বান্দ্রা কার্টার রোড-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জুহু, ভরসোভা, আকসা, গোরাই সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ঠানে, পালঘর, রায়গড়, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ প্রভৃতি জায়গায়। একাধিক নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ জেলাতেই জারি হয়েছে লাল এবং কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী দুর্যোগ চলবে। তারপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে খবর।