৩০ কিমি দূরের হাসপাতালে গিয়ে রক্তদানের বন্ধনে নিজেদের বাঁধলেন গ্রামের ২৬ জন রক্তদাতা
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
গ্রীষ্মকালীন রক্তের সংকট মেটাতে এগিয়ে এল গ্রামের মানুষজন। ২৬ জন রক্তদাতা গাড়িতে চেপে ত্রিশ কিমি দূরের উলুবেড়িয়া হাসপাতালে পৌঁছে রক্তদান করে গ্রামে ফিরলেন। ওঁদের এমন প্রয়াসে গর্বিত গ্রামের অন্যান্য মানুষজন।

আমতা-১ ব্লকের দামোদর নদের পাড় ঘেঁষা গ্রাম ভোজান। এখানেই গড়ে উঠেছে ভোজান ‘সেবায়ন কিশোর বাহিনী’। রক্তদান থেকে মরণোত্তর চক্ষুদান প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অঙ্গীকারবদ্ধ ওঁরা। সদস্যদের এককাট্টা মনোভাব কোভিড পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষজন উপকৃত হয়েছে। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে যৌথ সামাজিক সংগঠনগুলির ডাকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ভোজান গ্রামের সেবায়ন কিশোর বাহিনী’র দুই মহিলা সদস্য সহ মোট ২৬ জন রক্তদাতা পৌঁছে গিয়েছিল উলুবেড়িয়ায়। ‘রক্তদান জীবনদান’ এই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিল ওঁরা।

সেবায়ন কিশোর বাহিনীর রক্তযোদ্ধাদের অভিভাবক হিসাবে উলুবেড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কার্যকরী সমিতির সদস্য সমাজসেবী মিলন দে। সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সোমবার সদস্যরা জানান, “উলুবেড়িয়ায় রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এএমএসভিপি হাসিবুল মল্লিক। ছিলেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর অশোক কুমার পাড়াল। ওঁনাদের উপস্থিতি আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কোন বাচ্চা রক্তের অভাবে ফিরে না যায় এমন মহৎ উদ্দেশ্য আমরা উলুবেড়িয়া হাসপাতালে রক্তদান করেছি।”

রক্তদাতাদের মধ্যে ছিলেন রিতা দে, সৌম খামরুই, রনি কাঁড়ার, শঙ্কর মালিক, দীপঙ্কর ছাউলে, সাগ্নিক চোংদার, দীপু দে সহ মোট ২৬জন। ভোজান গ্রাম থেকে প্রায় ৩০কিমি পথ পারি দিয়ে উলুবেড়িয়া গিয়ে শিবিরে রক্তদান করে আসলেন। রবিবার উৎসবের মেজাজে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে মোট ৭১জন রক্তদাতা অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হাওড়া জেলার বিশিষ্ট রক্তেযোদ্ধা ও সমাজসেবী রেজাউল করিম, রক্তযোদ্ধা ও সমাজসেবী শাস্বত পাড়ুই।