বিধানসভা ভোটের আগে বিরাট ঘটনা কোচবিহার পুরসভায়
কল্যাণ অধিকারী, রাজন্যা নিউজ
মাস দুয়েক ধরে কোচবিহার পুরসভায় শুরু হয়েছে জন্ম শংসাপত্রের কার্ড ডিজিটাল করার কাজ। এই কাজ শুরু হতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটা-দুটো নয়, মাসখানেকের মধ্যেই ৭৩ টি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র ধরা পড়েছে। কিন্তু কারা এইসমস্ত ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র দাখিল করলেন তার খোঁজ চলছে বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে।
এত ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র কী করে বানানো যাচ্ছে? কারাই বা এইসমস্ত ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট দিচ্ছেন? পুরসভার অজান্তে এমনটা যে সম্ভবপর নয়, তা মানছেন অনেকে। পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটালাইজেশনের কাজ বহুদিন ধরেই চলছে কোচবিহারে। মাঝেমধ্যে একটা-দুটো ভুয়ো আসছিল। কিন্তু মাস দুয়েকের মধ্যে হঠাৎ করেই সংখ্যাটা আচমকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩-এ। সূত্রের খবর আগস্ট মাসে বেশি ধরা পড়েছে জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র। এই সমস্ত ভুয়ো শংসাপত্রগুলিতে সই রয়েছে খোদ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আমিনা আহমেদের নাম। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এমনটা ঘটল? আমিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুয়ো শংসাপত্রগুলিতে আমার নামে যে সই রয়েছে সেগুলি একটিও আমার সই নয়।’
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুর্গাপুজো মিটলেই রাজ্যে শুরু হতে পারে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া। এমনটা টিভি ও সংবাদপত্রে দেখানো শুরু হতেই জন্ম শংসাপত্র ডিজিটাল করার জন্য ভিড় বেড়েছে কোচবিহার পুরসভায়। তারমধ্যেই ৭৩ টি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রর ঘটনা সামনে আসায় নড়ে বসেছে প্রশাসন। ভুয়ো নথি জমার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত।