কলকাতা থামলো ৮৪রানে, বিরাট জয়ে প্লে অফ-এ জায়গা পোক্ত করছে ব্যাঙ্গালোর
কল্যাণ অধিকারী
হাইলাইটস
❏ ২০০৮সালের মধুর বদলা বুধবার আবু ধাবিতে নিল কোহলির ব্যাঙ্গালোর।
❏ এবারের আইপিএলে সর্বনিম্ন স্কোর কলকাতার।
❏ ধারবাহিক ব্যর্থ কার্তিককে ছেঁটে ফেলা হতে পারে।
❏ কলকাতার সর্বোচ্চ ৩০রান করেন অইন মর্গ্যান।
❏ মুম্বইকে সরিয়ে দু’নম্বর স্থানে উঠে আসলো ব্যাঙ্গালোর।
১২০বল ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স তুলেছে মাত্র ৮৪রান। হাতে থেকে গেল দুই উইকেট। শুনতে অবাক লাগলেও বুধবার ম্যাচে মর্গ্যানের দল এবারের আইপিএলে সর্বনিম্ন স্কোর করল। একিসঙ্গে মর্গ্যানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে জিততে ৮১বল খেলল কোহলির ব্যাঙ্গালোর। সেই সঙ্গে মুম্বইকে সরিয়ে দু’নম্বর স্থানে উঠে আসলো তাঁরা। হাতে দুই উইকেট থাকার পরেও কেন এমন ছন্দহীন থেকে গেল কলকাতা এ প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছে ক্রিকেট ভক্তরা। ৯জন ব্যাট করেছে তারমধ্যে মাত্র চারজন দুই অংকের রান করেছে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে শুভমান গিল ১রান। রাহুল ত্রিপাঠি ১রান। নিতিশ রানা শূন্য। এবারের আইপিএলে সাত ম্যাচের পর অধিনায়ক বদল করেছে কলকাতা। ক্যাপ্টেনসি হাতছাড়া হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে চার রান করলেন কার্তিক। আইপিএল-এর নিলামে সব চেয়ে দামি খেলোয়াড় প্যাট কামিন্স বানালেন মাত্র চার রান। কুড়ি ওভার শেষে কলকাতার দলগত রান ৮৪-৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল কোহলির নেতৃত্বে ব্যাঙ্গালোর ৮৫-২।
২০০৮সালের মধুর বদলা এদিন আবু ধাবিতে নিল কোহলির ব্যাঙ্গালোর। সেবার ২২২রান করেছিল কেকেআর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮২রানে শেষ হয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেদিনের বদলা নিল ব্যাঙ্গালোর। ১০ ম্যাচে কোহালির দলের পয়েন্ট এখন ১৪। ওদিকে সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে কেকেআর এর পয়েন্ট ১০। স্থান চতুর্থ। কলকাতাকে ছন্দে ফেরাতে কার্তিকের বদলে অইন মর্গ্যানকে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। তারপরও লজ্জার হার। শুভমান গিল এবং রাহুল ত্রিপাঠি ওপেন করতে নেমে মাত্র ১১বল খেলে দু’জন আউট হয়। কার্তিক ১৪বল খেলে নামের পাশে বসালেন ৪রান। এদিনের ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ রান করেন অইন মর্গ্যান। ৩৪বল খেলে একটি ছয় ও তিনটি চার সহযোগে ৩০রান করেন। টম ব্যাটন ১০রান এবং স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব ১২রান করেন। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লকি ফার্গুসন একটি চার সহযোগে ১৬ বলে ১৯রান করলেন। ফার্গুসনকে শেষের দিকে ব্যাট করতে নামানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন কলকাতার তিন ব্যাটসম্যানকে মাত্র ৮রান দিয়ে তুলে নিয়েছে মহম্মদ সিরাজ। বাকি চাহাল দু’টি এবং সাইনি ও সুন্দর একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট করতে নেমে পাডিক্কাল ২৫, ফিঞ্চ ১৬ রান করে আউট হন। গুরকিরত ২১ এবং কোহলি ১৮রানে নট আউট থেকে ম্যাচ বের করে নেয়। বল হাতে সিরাজ যেভাবে ছন্দ দেখাচ্ছে প্লে অফ-এর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে টিম কোহলি।
কার্তিককে সরিয়ে মর্গানকে অধিনায়ক করা হলেও কলকাতার ধারাবাহিকতা থেকে গেছে অধরা। প্লে অফ-এ জায়গা পোক্ত করতে গেলে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলে থাকতে গেলে পারফরমেন্স দেখাতে হবে এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে না গেলে প্লে অফ-এর বহু দূর আগেই আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হবে কলকাতাকে। ‘করব, লড়ব, জিতব রে’ থেকে যাবে এবারের মত অধরা।