হরিয়ানার ‘বেটি’ দিনের আলোয় গুলি খাচ্ছে, বেটিদের সুরক্ষা প্রশ্নাতীত

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
পরীক্ষা শেষে কলেজ পড়ুয়া তরুণী নিকিতা তোমরকে গুলি মেরে দৌড়ে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত।
২০১৫সাল থেকে লাগাতার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভিন্ন ধর্মের তৌসিফ।
২৪-২৫তারিখ রাতে ১হাজার সেকেন্ড কথা বলে তৌসিফ ও নিকিতা।
নিকিতার পিতা বলছে লভ জিহাদের শিকার হয়েছে আমার বেটি।

দিল্লি থেকে ৫৬কিমি দূর বল্লভগড়। এই বল্লভগড় থেকে আড়াই ঘন্টা পথ পেরোলেই পানিপথ। ২০১৫সাল ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪৪নং জাতীয় সড়ক ফড়িদাবাদ থেকে সোজা পৌঁছে যাচ্ছে মথুরা। সোমবার বিকেল চারটে। এই বল্লভগড় কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী নিকিতা তোমার শেষ পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে দিনের আলোয় বাড়ি ফিরতে পারলো না। লাভ জেহাদের জেরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাল দুই দুষ্কৃতি।

সোমবার ছিল শেষ পরীক্ষা। পরিবারের সদস্যরা কলেজের বাইরে ছিল। পরীক্ষা শেষ হলে নিকিতাকে বাড়ি নিয়ে যাবে। জানত না পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিল আরও দুই যুবক। মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ও তার সাগরেদ রেহান। ২০১৫সাল থেকে লাগাতার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভিন্ন ধর্মের তৌসিফ। সেই প্রস্তাবে রাজি না থাকায় ২০১৮সালের অগাস্ট মাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অগাস্ট মাসের ২তারিখ থানায় অপহরণের মামলা করে পরিবার। পুলিশ গ্রেফতার করে তৌসিফকে। ফিরে আসে ‘বেটি’। পুলিশ বুঝিয়ে সুঝিয়ে কেস বন্ধ করে দিয়েছিল। দু’বছর পর সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে তৌসিফ। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তৌসিফের দাদা প্রাক্তন এম.এল.এ। দাদার ভাই প্রাক্তন মন্ত্রী। তৌসিফের পিতা সক্রিয় রাজনীতিবিদ। কাকা কংগ্রেসের এম.এল.এ। এতবড় ঘটনা পরও আইনিভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে। যতক্ষণ না কঠোর সাজা হবে ফড়িদাবাদ-মথুরা হাইওয়ে থেকে উঠবে না।

বল্লভগড়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। বল্লভগড়ের এসিপি সহ একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসার ঘটনায় নাকাচেকিং করে ৫ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত তৌসিফকে গ্রেফতার করে। তার কিছু সময় পরে গ্রেফতার হয় রেহান। দু’দিনের রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কেন দু বছর আগে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেনি। তাহলে একুশ বছরের তরুণীকে এইভাবে দিনের আলোয় প্রাণ দিতে হত না। হরিয়ানায় বেটিরা কতটা অসহায় তার শেষ উদাহরণ নিকিতা! ঘটনায় রাজনীতির রং লাগতে দেরি করেনি। বিজেপির অভিযোগ অভিযুক্তের পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে পরিবারের দাবি, অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে এনকাউন্টার করুক পুলিশ। সব মিলিয়ে উত্তাল হরিয়ানা।

তবে অন্য একটি সুত্রের খবর ২৪-২৫তারিখ রাতে ১হাজার সেকেন্ড কথা বলে তৌসিফ ও নিকিতা। ধর্ম বদলানোর জন্য কতটা চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক তা তদন্তে উঠে আসবে। আপাতত খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের অন্য একটি সুত্রের খবর পরবর্তী সময় লভ জেহাদের বিষয়টি তদন্তে নিয়ে আসা হবে। জানা গেছে অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়ায় তার মেডিকেল পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি নিকিতার বিয়ে ঠিক হয়। তাই তাকে মেরে বদলা নিয়েছে এমনটাই পুলিশ সূত্রের খবর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিকিতার অন্তিম সংস্কার করেছে পরিবার। ফরিদাবাদ-মথুরা হাইওয়ে আপাতত যানজট মুক্ত।

হাইলাইটস
❏সোমবার ছিল শেষ পরীক্ষা। পরিবারের সদস্যরা কলেজের বাইরে ছিল।
❏পরীক্ষা শেষে কলেজ পড়ুয়া তরুণী নিকিতা তোমরকে গুলি মেরে দৌড়ে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান দু’জন।
❏২০১৫সাল থেকে লাগাতার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভিন্ন ধর্মের তৌসিফ।
❏২৪-২৫তারিখ রাতে ১হাজার সেকেন্ড কথা বলে তৌসিফ ও নিকিতা।
❏নিকিতার পিতা বলছে লভ জিহাদের শিকার হয়েছে আমার বেটি।

দিল্লি থেকে ৫৬কিমি দূর বল্লভগড়। এই বল্লভগড় থেকে আড়াই ঘন্টা পথ পেরোলেই পানিপথ। ২০১৫সাল ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪৪নং জাতীয় সড়ক ফড়িদাবাদ থেকে সোজা পৌঁছে যাচ্ছে মথুরা। সোমবার বিকেল চারটে। এই বল্লভগড় কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী নিকিতা তোমার শেষ পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে দিনের আলোয় বাড়ি ফিরতে পারলো না। লাভ জেহাদের জেরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাল দুই দুষ্কৃতি।

সোমবার ছিল শেষ পরীক্ষা। পরিবারের সদস্যরা কলেজের বাইরে ছিল। পরীক্ষা শেষ হলে নিকিতাকে বাড়ি নিয়ে যাবে। জানতো না পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিল আরও দুই যুবক। মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ও তার সাগরেদ রেহান। ২০১৫সাল থেকে লাগাতার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভিন্ন ধর্মের তৌসিফ। সেই প্রস্তাবে রাজি না থাকায় ২০১৮সালের অগাস্ট মাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ২তারিখ থানায় অপহরণের মামলা করে পরিবার। পুলিশ গ্রেফতার করে তৌসিফকে। ফিরে আসে বেটি। পুলিশ বুঝিয়ে সুঝিয়ে কেস বন্ধ করে দিয়েছিল। দুবছর পর সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তৌসিফের দাদা প্রাক্তন এম.এল.এ। দাদার ভাই প্রাক্তন মন্ত্রী। তৌসিফের পিতা সক্রিয় রাজনীতিবিদ। কাকা কংগ্রেসের এম.এল.এ। এতবড় ঘটনা পরও আইনিভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে। যতক্ষণ না কঠোর সাজা হবে ফড়িদাবাদ-মথুরা হাইওয়ে থেকে উঠবে না।

বল্লভগড়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। বল্লভগড়ের এসিপি সহ একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসার ঘটনায় নাকাচেকিং করে ৫ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত তৌসিফকে গ্রেফতার করে। তার কিছু সময় পরে গ্রেফতার হয় রেহান। দুদিনের রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কেন দু বছর আগে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেনি। তাহহ্লে একুশ বছরের তরুণীকে এইভাবে দিনের আলোয় প্রাণ দিতে হতনা। হরিয়ানায় কতটা অসহায় বেটিরা তাঁর শেষ উদাহরণ নিকিতা! ঘটনায় রাজনীতির রং লাগতে দেরি করেনি। বিজেপির অভিযোগ অভিযুক্তের পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে এনকাউন্টার করুক পুলিশ। সব মিলিয়ে উত্তাল হরিয়ানা।

তবে অন্য একটি সুত্রের খবর ২৪-২৫তারিখ রাতে ১হাজার সেকেন্ড কথা বলে তৌসিফ ও নিকিতা। ধর্ম বদলানোর জন্য কতটা চাও দিচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক তা তদন্তে উঠে আসবে। আপাতত খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে পুলিশের অন্য একটি সুত্রের খবর পরবর্তী সময় লভ জেহাদের বিষয়টি অদন্তে নিয়ে আসা হবে। জানা গেছে অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে ২০১৮ সালে গ্রেফতার হওয়ায় তার মেডিকেল পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি নিকিতার বিয়ে ঠিক হয়। তাই তাকে মেরে বদলা নিয়েছে এমনটাই পুলিশ সূত্রের খবর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিকিতার অন্তিম সংস্কার করেছে পরিবার। ফরিদাবাদ-মথুরা হাইওয়ে আপাতত যানজট মুক্ত।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের আই-টয়েন্টি গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে। ওই গাড়িতে-ই ২১বছরের ‘বেটিকে’ টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল। মেয়েটি কোনক্রমে তাঁর বান্ধবীর কাছে চলে যায়। গাড়িতে তুলতে সফল না হতে পেরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে তৌসিফ। গুলির আওয়াজ পেয়েই গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে রেহান। তারপর দৌড়ে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত তৌসিফ ও সহযোগী আফতাব। ফরিদাবাদের বল্লভপুরের সোমবার বিকেলের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হরিয়ানা। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় ভয়ানক হত্যাকান্ডের সমস্তটা প্রকাশ্যে এসেছে। নইলে আর পাঁচটা ঘটনার মতো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হত এমনটাই পরিবারের অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *