বৃহস্পতি তুঙ্গে! ৫৭ রানে দিল্লিকে হারিয়ে ষষ্ঠ বার আইপিএলের ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
৪-১৪-১-৪ বুমরাহর স্বপ্নের স্পেল ধস নামালো দিল্লির।
রোহিত শূন্য, ব্যাট হাতে ডি-কক, ইশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া উজ্জ্বল।
হায়দ্রাবাদ ম্যাচ অতীত, দিল্লিকে ৫৭রানে হেলায় হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
১২রানে বুমরাহ-র বলে রোহিতের অসম্ভব ক্যাচে ফিরে যান শ্রেয়স, দলও হারার মুখ দেখল।
মারকুস স্টোনিস ৬৫ ও অক্ষর প্যাটেল করেন ৪২।

ত্রয়োদশ আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছল এবারের সবথেকে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে-ই মুম্বইয়ের বৃহস্পতি তুঙ্গে। দিল্লিকে ৫৭রানে হেলায় হারিয়ে দিল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং। সেই সঙ্গে ষষ্ঠবার আইপিএল-এর ফাইনালে পৌঁছল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

ব্যাট হাতে ডি-কক, ইশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে জসপ্রীত বুমরা, বোল্ট ঝলসে উঠলেন। দিল্লিকে ৫৭ রানে পরাস্ত করে ত্রয়োদশ আইপিএলের ফাইনালে প্রথম দল হয়ে পৌঁছল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৪ ওভারে ১৪টা রান খরচ করে মূল্যবান ৪টি উইকেট পেলেন বুমরাহ। স্বপ্নের স্পেল উপহার দিয়ে বুম বুম বলছেন সমস্ত পর্যায়ে বল করবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি। ইয়র্কার স্পেশালিস্ট এর বলে পর্যুদস্ত শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়াস আইয়ার, মারকুস স্টোনিস এবং ডানিয়েল সামস। এদিন শিখরের মিডল স্টাম্পটি ছিটকে দেয় বুমরাহ। একবার ঘুরে তাকিয়ে প্যাভিলয়নের দিকে হাঁটা শুরু করে দেয় শিখর।

ফাইনালে বুমরাহ-র আগুনে বোলিং দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন রোহিত। তিনি জানান, গুড লেন্থে বল করা হোক, বাউন্সার অথবা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ইয়র্কার প্রতিটি ম্যাচে স্পেশালিস্ট বুমরাহ। এদিন লাইন-লেন্থ ধরে আক্রমণাত্মক বল করে গিয়েছেন বুমরাহ, বোল্ট। ফলে টার্গেট ছুঁয়ে দেখা অধরাই থেকে গেল দিল্লির। প্রথম আঘাত হানে বোল্ট। পেয়েছেন ২টি উইকেট। বৃহস্পতি একদমই সহায় ছিল না দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়রের। ১২রান করে বুমরাহ-র বলে রোহিতের অসম্ভব একটা ক্যাচে ফিরে যান শ্রেয়স। সঙ্গে দলও হারার মুখ দেখল। শ্রেয়স বলেন, ১৭০ রান থাকলে সমস্যা হতো না। কুয়াশার মাঝে সেরাটুকু দেবার চেষ্টা করে গিয়েছি। সবদিন সমান যায় না।

এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার কুইন্টন ডি কক। একটি ছয় ও চারটি চারের সাহায্যে ২৫ বলে ৪০ রান করে অশ্বিনের বলে আউট হন। যদিও তার আগেই শূন্যতে ফিরে গিয়েছে অধিনায়ক রোহিত। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব ৩৮ বলে ঝকঝকে ৫১ রান করেন। পাশাপাশি ঈশান শাসন চলছে। ঝাড়খণ্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এদিন ৩০টা বলে খেলে ৩টি ছক্কা ও চারটি চার মেরে ৫৫ রান করেন। মরু শহরে হার্দিক ঝড় অব্যাহত। ৫টা বিশাল ছক্কা মেরে ১৪ বলে ৩৭রান করে মুম্বইকে ২০০-র গণ্ডিতে পৌঁছে দেয়। শেষ পর্যন্ত দু’জনে অপরাজিত থেকে যায়।

ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দুই ওপেনার কোন রান না করেই ফিরে যায় প্যাভিলিয়ন। মারকুস স্টোনিস দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি ছক্কা ও ৬টি চার। আউট হয়ে ফিরে যেতে লড়াই দেবার চেষ্টা করেন অক্ষর প্যাটেল। ৩৩ বলে ৪২ রান দলকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ৮উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থেমে যায় দিল্লি। শুক্রবারের আরসিবি-হায়দ্রাবাদ ম্যাচে জয়ী দলের সঙ্গে খেলবে দিল্লি।

ছবিঃ টুইটার থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *