মিনি গ্যালারী ভরেছে আগাছা ও গুটখার পিকে, সন্ধে নামলে বসে মদ্যপানের আসর! নজর নেই প্রশাসনের

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
❏ অমরাগড়ী অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে মিনি গ্যালারী আগাছা ও গুটখার পিকে ভরে গিয়েছে।
❏ খেলার মাঠ রক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০১৬ সালে নির্মাণ করা হয়।
❏ তারপর থেকে সেইভাবে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় পড়ে।
❏ আলো না থাকায় রাতে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ।

আমতা-ঝিকিরা সড়কের পাশে অমরাগড়ী অ্যাথলেটিক ক্লাবের ফুটবল মাঠ। এই মাঠের পশ্চিম প্রান্তে মিনি গ্যালারী। বাঁশ বাগানের ঝুলে আসা পাতার নিচে নীল-সাদা রঙ লেগে থাকা মিনি গ্যালারী। ব্যাস ওইটুকু! বাকিটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। গ্যালারীর মাঝে জন্মেছে বড় বড় গাছ। যত্রতত্র পান-গুটখার পিক। সন্ধে নামলে আগন্তুকের ভিড় বাড়ে। মদ্যপানের আসরও মাঝেমধ্যে বসে এমনটাই স্থানীয়দের দাবি।

তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করতেন সাংসদ সুলতান আহমেদ। তাঁর লোকসভা ক্ষেত্র উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন প্রান্তে খেলার মাঠ রক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে একাধিক কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে আমতা-২ ব্লকের অমরাগড়ী অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে মিনি গ্যালারী নির্মাণ করেন সাংসদ সুলতান আহমেদ। খরচ পড়ে ৫লক্ষ টাকা। কিন্তু তারপর থেকে মিনি গ্যালারী রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে সেইভাবে নজর দেওয়া হয়নি। ফলে আগাছায় ভরে গেছে নীল-সাদা রঙের মিনি গ্যালারি। আগাছার মধ্যে সাপ থাকার ভয়ে গ্যালারির দিকে খুব বেশি স্থানীয়রা যেতে চায় না। খাঁ খাঁ করছে গ্যালারী।

স্থানীয়দের দাবি, মাঠের ‘শ্রী’বৃদ্ধি ঘটাতে চার বছর আগে মিনি গ্যালারী বানিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ। সকলে মাঠে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে। পাশপাশি গ্রামবাসীরা সেই খেলা গ্যালারীতে বসে উপভোগ করতে পারেন সেদিকে নজর রেখেই তিনি বানিয়েছিলেন। মানুষকে খেলাধুলোয় প্রেরণা দিতে তাঁর ভুমিকা ছিল অনন্য। কিন্তু পরবর্তী সময় নজরদারি সেইভাবে রাখা হয় না। আগাছায় যেমন ভরেছে পাশাপাশি পান-গুটখার পিক যত্রতত্র পড়ে। গ্রামবাসীরা খুব বেশি ওইদিকে যায় না। আলো না থাকায় সন্ধের পর অন্ধকারে ডুবে যায় গ্যালারি। মাঝেমধ্যে মদ্যপানের আসর বসে। সকালে মদের বোতলের ছিপি, গ্লাস পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গ্রামবাসী ও খেলা প্রেমী মানুষদের দাবী দ্রুত পরিস্কার করে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হোক মিনি গ্যালারীতে।

এ বিষয় আমতা-২ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযাগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি। জয়েন্ট বিডিও সুব্রত সরকার জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুত ওই মিনি গ্যালারী পরিদর্শনে যাবেন। পরিস্কার করার কাজও শুরু করা হবে। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হবে মিনি গ্যালারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *