বিধানসভা ভোটের আগে কে ডি সিংহকে গ্রেফতার করল ইডি, চিন্তা বাড়াল তৃণমূলের
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো
একটা সময় তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা কে ডি সিংহকে গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্য হতেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কেডি সিংহ কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তৃণমূলের কোন প্রভাবশালী নেতাকে ডাকবে ইডি সে প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করেছে।
২০১৪ সালে আহমেদ হাসান ইমরান, মিঠুন চক্রবর্তী এবং যোগেন চৌধুরির সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ হন কে ডি সিংহ। ঘটনাক্রমে মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূলের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিধানসভার ভোটের মুখ নারদ কেলেঙ্কারি সামনে আসে। এরপরেই মুখ খোলেন ম্যাথু। তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহের নির্দেশেই স্টিং অপারেশন হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলের বিস্ফোরক মন্তব্য। তার জেরে ব্যবসায়ী সাংসদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করে তৃণমূল। তবে তিনি ছিলেন তৃণমূলের মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। বিরোধীরা এমন অস্ত্র কে আবারও ভোটের মুখে ব্যবহার করবে একপ্রকার নিশ্চিত।
দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। অস্বস্তি থাকলেও দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বহু দিনের। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক কারণ দেখছে রাজ্যের শাসক দল। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর। একটি টিভি চ্যানেলে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। দলে কে ডি সিংহ কে আনতে বড় ভূমিকা ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। কে ডি সিংহ গ্রেফতার হয়েছেন মুকুল রায়কেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।