অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদ্রোহী শতাব্দীর রাতে মানভঞ্জন

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

হাইলাইটস
❏ একদা বিবাগী কুনালকে মাঠে নামাতেই গোসা কমলো সাংসদের
❏ বিদ্রোহী শতাব্দীকে বাগে আনলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাখলেন দলকে
❏ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বীরভূমে কাজে স্বাধীনতা পেলেন
তিন বারের সাংসদ

কুনাল ঘোষের প্রচেষ্টা ও অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে গলল বরফ। আপাতত দিল্লির বিমান ধরছেন না তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে তিনি দলকে দিয়ে রাখলেন স্পষ্ট বার্তা। কিন্তু কদিনের জন্য দিল্লির বিমান ধরবেন না তা কিন্তু পরিষ্কার করলেন না অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।

বৃহস্পতিবার শতাব্দী রায় ফ্যানস ক্লাব নামক ফেসবুক পেজে গেরুয়া রঙের সার্ট পড়ে আগামী সিদ্ধান্ত নিয়ে পোস্ট রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই পোস্ট তাঁর নিজের লেখা কিনা এ বিষয় মুখ খোলেননি তিনি। বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। তিনি সাংবাদিকদের সামনে জানান, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বীরভূমের সাংসদ হলেও সেই গড় অনুব্রতর। সঙ্গত কারণে সরব হয়েছেন তিনি অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে। গুড়-বাতাসা হোক চরাম চরাম বা পাঁচন দাওয়াই বীরভূমে শেষ কথা অনুব্রতর চলে। তাই বিক্ষুব্ধ হয়ে জোড়াফুল ছেড়ে পদ্ম ধরতে চলা শতাব্দীকে ধরে রাখতে ঝাঁপাতে হল দলকে।

বিদ্রোহী শতাব্দীকে বোঝাতে দল এগিয়ে দেয় তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে। তথ্য বলছে বছর আটেক আগে কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ তাপস পাল, শতাব্দী রায় এবং কুণাল ঘোষ। সেই সময় দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে শো-কজ করা হয়েছিল। আর এবার শতাব্দীকে নিয়ে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে যান কুনাল। শুক্রবার রাতে বৈঠক শেষে অনেকটাই ক্ষোভ প্রশমন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন দল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসে।

তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে দলের কঠিন সময়ে পিছিয়ে পড়া নেতারা বেসুরো মন্তব্য করে নিজেদের ওজন বাড়াতে চাইছে। তবে আসল কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। একি কথা শোনা গিয়েছে কুনাল ঘোষের গলাতেও। শতাব্দীর বাড়িতে কুনালের সঙ্গে বৈঠকের সময় দিল্লি থেকে মুকুল রায়ের ফোন এসেছিল শতাব্দীর কাছে। অশুভ শক্তির নজর পড়েছে তৃণমূলের প্রতি। তারা চাইছে যেভাবে হোক দল ভাঙনের খেলা চালাতে। এতে করে দলের মাটি শক্ত হচ্ছে। একুশের বিধানসভা ভোটে সকলে মিলে লড়াই চলবে।

বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলে এখন অক্সিজেনের অভাব। তাই বিজেপিতে চলে আসতে চাইছে। তারপরও শনিবার দিনটা রাজ্য রাজনীতিতে ঘটনাবহুল হবার সম্ভাবনা। এখন দেখার শতাব্দীকে ধরে রাখলেও বাকিদের পদ্ম ধরা আটকাতে কতটা সফল হবে ঘাসফুল।

চিত্র সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *