অধিকার ছিনিয়ে নিতে এসে মৃতদেহ হয়ে ফিরে যাচ্ছে বাঁকুড়ার মইদুল

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

হাইলাইটস
সুদীপ্ত গুপ্তের স্মৃতি ফিরে আসলো কলকাতায়
হাতের মুঠো উঁচিয়ে স্লোগান দেওয়া মইদুল মৃত ক্ষোভ সর্বত্র
লাঠি ছাড়া অন্য কোনভাবে আন্দোলন পরাস্ত করা যেত না প্রশ্ন তুলছে শহর

আট বছর আগে এপ্রিল মাসে বাম ছাত্রদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে এসে মৃত্যু হয়েছিল এসএফআই-কর্মী সুদীপ্ত গুপ্তের। এবার একুশের নির্বাচনের ঠিক মুখে এক বাম কর্মীর মৃত্যু হল বামেদের নবান্ন অভিযানে এসে। শহরের পথে আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়ে মৃত্যু একরাশ প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। লাঠি ছাড়া অন্য কোনভাবে আন্দোলন পরাস্ত করা যেত না প্রশ্ন তুলছে শহর!

শিল্পের দাবিতে আন্দোলনে হাজারও যুবকের সঙ্গে পা মিলিয়েছিল মইদুল ইসলাম মিদ্যা। কর্মসংস্থান দাবি জানিয়ে নবান্নে পৌঁছানোর অনেক আগেই পুলিশের শক্ত ব্যারিকেডের সামনে আটকা পরতে হয়। গলার শিরা উঁচিয়ে, হাতের মুঠো উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। অভিযোগ সে সময় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুলিশের শক্ত বাধার মুখে পরতে হয়। লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ বাম নেতা কর্মীদের। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল। ক’দিনের লড়াই শেষ হল সোমবার। মারা গেল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা বাম কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। এরপরেই প্রশ্ন তুলছে বাম নেতারা অধিকার ছিনিয়ে নিতে এসে মৃতদেহ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। কতটা সুরক্ষিত গণতন্ত্র!

বাম নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে বারেবারে আন্দোলনে নেমে হাত মুঠো করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল নয়। তারজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে পুলিশের বেপরোয়া লাঠি খেতে হচ্ছে ছাত্র-যুবদের! আন্দোলনে এসে মৃতদেহ হয়ে ফিরে যাওয়া এ রাজ্যের সংস্কৃতি ছিল না! তৈরি করা হচ্ছে বলেও তীব্র ক্ষোভ ঝরাচ্ছেন নেতারা।

২০১৩ সালে এপ্রিল মাসে এসএফআই-কর্মী সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু পর, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এসে মৃত্যু হল আরও এক বাম কর্মীর। দমতে নারাজ বাম কর্মীরা। গণতান্ত্রিক পথেই দাবি আদায় করবার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সরকারের হাতে থাকা পুলিশ লাঠি হাতে যত রুখবে আন্দোলনের ঢেউ ততই উত্তাল হবে। ভোটের আগে মৃত্যু তীব্র হবে রাজনৈতিক লড়াই ইঙ্গিত বাম নেতাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *