গ্ল্যামার ফাটল বাড়ছে তৃণমূলে, এবার শ্রাবন্তী যোগ দিলেন পদ্মশিবিরে

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

হাইলাইটস
একুশের নির্বাচনে জৌলুস বাড়ছে বঙ্গ বিজেপি তে
তৃণমূলের ‘কাছের’ শ্রাবন্তী পদ্মফুল হাতে তুলে নিলেন
রাজনীতির অঙ্ক কষেই টলিউড ভাঙন ধরাচ্ছেন দিলীপ- কৈলাস-মুকুল
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ব্যক্তি আক্রমণ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

গ্ল্যামার কি তা হলে পদ্মমুখি? সোমবার বিকেলে বিজেপি শিবিরে যোগ দিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকেই প্রশ্ন ঘুরছে সর্বত্র সত্যিই কি গ্ল্যামার ছড়ানো টলি তারকারা ধীরে ধীরে মুখ ফেরাচ্ছেন তৃণমূল শিবির থেকে! নাকি টিকিটের লোভ দেখিয়ে গেরুয়া শিবির নিজেদের দলে টানছেন নজর সকলের। ভোটের মুখে যুযুদান দুই পক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপি টক্কর আরও শক্তপোক্ত হতে চলেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের সরকার গঠনের পর থেকেই তাঁর আশেপাশে থাকেন টলি তারকারা। সে একুশের মঞ্চ হোক বা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। একঝাঁক তারকা প্রতি মুহূর্তে তাঁর পাশে থেকেছেন। কিন্তু একুশের নির্বাচন যত কাছে এসেছে ততই তৃণমূল বলয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন টলি তারকারা। শেষ নামটা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। অভিনয় জীবনে মাধুর্য ছড়িয়েছেন তিনি। কখনও দেব-এর সঙ্গে। কখনও অঙ্কুশ, সোহমের সঙ্গে। দেব তৃণমূলের সাংসদ। অঙ্কুশ রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি। কিছুদিন আগেই যশ, হিরণ, পায়েল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনয়ের মঞ্চ টলিয়ে দেওয়া অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

তিনি পদ্মফুলের উত্তরীয় গলায় নিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে এসেছে ব্যক্তি আক্রমণ। তিন তিনটি বিয়ে করেছেন। ওটাই সমালোচনার বিষয় করে রীতি মত ট্রোলের শিকারও হতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিনয় সকলের প্রিয়। কিন্তু রাজনীতির রথে চড়তেই শুরু ব্যক্তি আক্রমণ। শ্রাবন্তীর ভক্তদের সংখ্যাও বেশ বড়সড়। একাধিক হিট সিনেমা দর্শকদের দিয়ে এসেছেন। তাঁকে এভাবে আক্রমণ করা সঠিক না বলেই মনে করেন ভক্তরা। সকল মানুষের মধ্যে নিজস্বতা থাকবে এটাই বাস্তবতা। তিনি তৃণমূলে যোগ দিলে নিশ্চিতভাবে এসব থেকে ওয়াশিং হয়ে যেতেন। যদিও তৃণমূলের একাংশের দাবি, শ্রাবন্তী ও রোশনের সম্পর্কের রসায়নে যা তাতে করে চতুর্থ বিয়ের তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন! উনি যে দলে যোগ দিলেন যোগ্য সম্মান পাবেন তো! হতে পারে বিধানসভা ভোটে টিকিটের লোভে পদ্ম তে গিয়েছেন!

তাঁর হাঁসি লুক দর্শকদের হলমুখি করে এসেছে। সামনে বড় লড়াই। গ্রহনযোগ্যতার বিচার করলে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এখন দেখার একুশের নির্বাচনে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করবার ছাড়পত্র পাবার জন্য দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরা চিঠি পাঠায় কিনা। যে দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হবে সেই কাজ করে যাবেন জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। আপাতত শাসকের ‘চাঁদের হাটে’ অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে পদ্মশিবির। তৃণমূলের এক পক্ষের যুক্তি ক’দিন আগে রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, জুন মাল্য, কাঞ্চন মল্লিকরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কে যাচ্ছে কে নিজের ভুল বুঝে ফিরে আসছেন সে সব নিয়ে চিন্তিত নয়। বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছে একুশের ভোটে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মেয়েকেই তাঁরা আনছে। ওঁনার মন চেয়েছে গেছে। আবার মন চাইলে ফিরেও আসবেন!

গ্রাফিক রাজন্যা নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *