এক ফোন পেয়েই প্রচারের আলোয় বিজেপির প্রলয় পাল

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

হাইলাইটস
তাঁকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন সুপ্রীমো
বিজেপির প্রচারে এক বেলাতেই ”বিখ্যাত’
তিনি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল

প্রলয় পাল বিজেপির কোন বড় মাপের নেতা নন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরতে হয় না। অথচ প্রথম দফার ভোটের দিন অডিও ক্লিপ দেখিয়ে প্রচারের আলো নিজের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল।

তাঁকে শনিবার সকালে ফোন করেছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। একটা সময় তিনিও তৃণমূল করতেন। স্বচ্ছ পরিবারের বর্তমান নেতা তিনি। এখন অবশ্য বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি। সচারচর কারও ফোন তিনি নাকি রেকর্ড করেননি। অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসায় তিনি রেকর্ড করেন। আর তাতেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম। বিজেপি প্রচারে ঝাঁপিয়েছে। প্রলয় পাল বিখ্যাতদের তালিকায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং! আর যায় কোথায়। ঠিক কি রয়েছে মিনিট তিনেকের অডিওতে। প্রথমটা পরিচয় পর্বে কেটেছে। তারপর সুপ্রিমোর মতন গলায় মহিলা বলেছেন “তুমি একটু আমাদের এবারের সাহায্য করে দাও না, দেখো কোন অসুবিধে হবে না।” বাকি কথাগুলো এর আগেও বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। তিনি একাধিক মঞ্চে বলেছেন ”পূর্ব মেদিনীপুর গদ্দারদের জমিদারি ছিল’, পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হত না এমনটাই অভিযোগ করে আসছেন মমতা। অডিও টেপে বলতে শোনা গেছে “নন্দীগ্রামে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হত না এবং মেদিনীপুরে ঢুকতে দেওয়া হত না কারণ সেখানে এক পরিবারের জমিদারি চলত।”

এই অডিও টেপের দৌলতে প্রলয় পাল এখন ভিআইপির মর্যাদা পাচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যায় টিভিতে ঘন্টাখানেক বসে লাইভে কথাবার্তা বলছেন। তার আগে দুপুর থেকে বিজেপি প্রচারে নেমে পড়েছে। যদিও বিষয়টিকে অতি গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। কুনাল ঘোষ, সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা গণতান্ত্রিক রীতির লক্ষ্যণ মাত্র বোঝাতে চেয়েছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, ‘প্রাক্তন এক কর্মীকে ফোন করা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্বল হয়েছেন, হেরে যাবেন বলে সাধাসাধি করছেন এমনটা নয়’। ফলে যে বিজেপি অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে এগোচ্ছিল সেই অস্ত্রে পাল্টা চাল দিল তৃণমূল। প্রলয় যেহেতু এক সময় তৃণমূল করে এসেছে তাই পুরনো কর্মী হিসেবে তাঁর কাছে ফোন যাওয়া এতে দ্বিমতের কিছুই নেই দাবি তৃণমূলের।

ভোট প্রচারে বিভিন্ন সময় ভোটারদের ফোনে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অডিও দিয়ে ভোট দেবার আহ্বান জানান হয়। এক্ষেত্রে অডিও নয় সরাসরি ফোন। রাজ্য সফরে গেলে তাঁর হাতের ছোঁয়া পেতে সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর ফোন রেকর্ড করে রীতিমতন বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *