দিদির পাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট চাইলেন অমিত শাহ
কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা
হাইলাইটস
❏ পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ভবানীপুর কেন্দ্র ঘিরে জৌলুষ বাড়িয়ে দিলেন অমিত শাহ
❏ বাসিন্দারা গলায় পরিয়ে দিলেন টাটকা রজনীগন্ধার মালা, আওয়াজ উঠলো ‘জয় শ্রীরাম’
❏ যতই দুয়ারে পৌঁছাক এবারও বিজেপি তিন-এ কটাক্ষ তৃণমূলের
তেখালি মাঠের জনসভা থেকে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মমতা। তারপর থেকে-ই কিছুটা লাইমলাইটের আড়ালে চলে যায় কলকাতা দক্ষিণের নজরকাড়া কেন্দ্র ভবানীপুর। কিন্তু শুক্রবার ভবানীপুর কেন্দ্র ঘিরে জৌলুষ বাড়িয়ে দিলেন অমিত শাহ। এদিন ওই কেন্দ্রের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ভোট চাইলেন তিনি। তারপর থেকেই রাজনৈতিক আতসকাচের তলায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র।
দিদির পাড়ায় বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অলিগলি হয়ে ছোট ঘুপচি এলাকায় তাঁকে বরণ করতে তৈরি ছিল এলাকার মানুষজন। তাঁর গলায় পরিয়ে দিলেন টাটকা রজনীগন্ধার মালা। উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মহিলারা। শাঁখের ধ্বনির মাঝেই আওয়াজ উঠলো ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়।’ এভাবেই একের পর এক পাড়ায় মানুষের অভিভাবদন গ্রহণ করেন অমিত শাহ। দগদগে রোদেও মুখে তৃপ্ত হাসি।
ভবানীপুরে মমতা প্রার্থী না হলেও তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কে। বিজেপি প্রার্থী দলবদল করা নবাগত রুদ্রনীল ঘোষ। তিন কয়েক বছর তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। যদিও বিধায়ক হননি তিনি। এ দিন নবাগত কে সঙ্গে নিয়ে ভোট চাইতে মমতার পাড়ায় পৌঁছে যান তিনি। এই ভবানীপুরেই গত বিধানসভায় মমতার বিরুদ্ধে জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। মমতা যখন একের পর এক জেলায় তৃণমূলের প্রার্থীদের জন্য ভোট প্রচার করছেন সেই সময় ভবানীপুর চষে ফেলেন দীপা। এবারও মমতা যখন উত্তরে প্রচারে তাঁর পাড়ায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছেন অমিত শাহ।
২০১৬ সালে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছিল নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র চন্দ্র কুমার বোস কে। ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। দ্বিতীয় হয়েছিল দীপা দাশমুন্সি। তাঁর শতাংশ হিসেবে ভোট ছিল ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই মুহুর্তে রাজ্যে অনেকটাই শক্তিশালী বিজেপি। প্রার্থী করা হয়েছে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত রুদ্রনীল কে। মমতা প্রার্থী না হলেও তিনি ভবানীপুরে পথে নামলে ভোটের হিসেব পাল্টে যাবে। তাই প্রচারে কোন খামতি রাখতে চায়নি বিজেপি। ফুলে সাজানো হুড খোলার গাড়ীতে রোড শো’র বদলে ইট বেরিয়ে থাকা স্যাঁতসেঁতে দেওয়ালের গা ঘেঁষে দুয়ারে দুয়ারে প্রচার করলেন অমিত শাহ। প্রচারে সাড়াও পেলেন ভালোরকম।
যদিও তৃণমূলের গলায় কটাক্ষের সুর, ‘বিজেপি যতই ভবানীপুরে প্রচার করুক। দিদি’র কাছে সব ভেসে যাবে। এবারও তৃণমূল প্রার্থী এক নম্বরে থাকবে। আর বিজেপি তিন-এ ! ”