তাঁর লোকসভা ক্ষেত্রে ৫কেন্দ্রে ফুটেছে জোড়াফুল, এবার বাড়ির সামনে বোমাবাজি নিয়ে ক্ষুদ্ধ অর্জুন সিং, ব্যারাকপুর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কল্যাণ অধিকারী
নিজের বলয়ে ক্ষমতা হারাচ্ছেন অর্জুন সিং! একথা তৃণমূল তো বলছেই, একিসঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও একাধিক প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। সাংসদ হবার পর থেকেই রাজ্যের সরকারের প্রতি তাঁর মন্তব্য ছিল সপ্তমে। মমতার তীব্র বিরোধীতা ও মন্তব্যের কারণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। বিধানসভা ভোটের আগে ব্যারাকপুর এলাকায় আধিপত্য রাখার দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতেই। ভোটের ফলাফল প্রকাশ পেতেই দেখা যায় রাজ্যে ৮০-র ঘরও পার করতে পারেনি বিজেপি। পাশাপাশি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৫ বিধানসভায় হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
বীজপুর, ব্যারাকপুর, আমডাঙ্গা, নৈহাটি, নোয়াপাড়ায় হতাশজনক ফল। কেন এই ফলাফল কর্মীদের মধ্যেও যথেষ্ট হতাশার ছবি। সবথেকে চর্চার কেন্দ্র ছিল বীজপুর। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় এই কেন্দ্রে হেরেছেন। একদিকে যেমন ‘চাণক্য’ মুকুল রায়ের ছেলের হার অন্যদিকে অর্জুন সিং এর সাংসদ এলাকার মধ্যেই হাতছাড়া বীজপুর। বিজেপির টিকিটে জয় অধরা থেকে গেছে শুভ্রাংশুর। ফলাফল বলে দিচ্ছে ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকায় তৃণমূলের দাপট বেড়েছে। তবে বিজেপির আশার খবর ভাটপাড়া ও জগদ্দল বিধানসভা বিজেপির দখলে। তবুও বিতর্ক থেমে থাকছে না। বুধবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়েছে এমনটাই অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের। জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এত নিরাপত্তা থাকা স্বত্বেও তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অর্জুন সিং।
তারপর থেকেই প্রশ্ন ঘুরছে তবে কি রাজনীতিতে অর্জুন লক্ষ্যভ্রষ্ট! যদিও তাঁর অনুগামীরা ‘দাদার’ প্রতি আস্থাশীল। ‘দাদা’ সবসময় সক্রিয়। কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখেনি। লোকসভা ক্ষেত্রের সর্বত্র তাঁর অবাধ বিচরণ। ভোটের আগে তাঁকে নিয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। ৫টি বিধানসভা ক্ষেত্রে হারের বিস্তারিত তৈরি হবে।
চার হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত জেলায় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র আগামী দিনে কোনদিকে যেতে চলেছে তার একটা স্পষ্ট ছাপ মিলেছে বিধানসভা ভোটে। ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে অনেক পরিবর্তনের আশা করছে তৃণমূল। সাংসদ অর্জুন সিং আগামীতে কি ভূমিকা নিতে চলেছেন সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
ছবি সংগৃহীত।