ভাটোরায় শুরু হল ‘দুয়ারে ত্রাণ’, প্রথম দিনেই শিবিরে ভিড় দুর্গতদের

কল্যাণ অধিকারী

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর কবলে ও রূপনারায়ণের জলচ্ছাসে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল জিবি চিতনান ও ভাটোরা এলাকার মানুষদের। মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ভাবনা ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি নিয়ে শুরুর দিনই ক্ষতিগ্রস্ত ভাটোরার মানুষের পাশে হাজির সরকার।

বৃহস্পতিবার ১০ টার পরেই আধিকারিকরা এসে পৌঁছাতে শুরু করেন উত্তর ভাটোরা হাইস্কুল শিবিরে। ততক্ষণে আবেদন পত্র হাতে হাজির হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী ইয়াসের ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ পায় সে কারণে সমস্তটা সত্য যাচাই করা হবে। আবেদন পত্র জমার পর সত্য যাচাইয়ে যাবে তদন্তকারী দল। সমস্ত পর্ব মিটে যাবার পরেই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে এমনটাই সূত্রের খবর।

দ্বীপাঞ্চল এলাকায় চাষের জমি থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তছনছ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো ৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি আমতা-২ ব্লকের ভাটোরায় খোলা হয়েছে প্রথম শিবির। ভিড় হয় দুর্গতদের। ‘দুয়ারে ত্রাণ’ পেতে আবেদন জানানো শুরু করেন গ্রামবাসীরা। দ্রুততার সঙ্গে গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে আবেদন পত্র জমা নেন আধিকারিকরা। ছিলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। আমতা-২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মাসুদুর রহমান। ছিলেন জয়েন্ট বিডিও সৌমিক সিংহ। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা। ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক গায়েন।

পুকুর, ঘর, কৃষক বন্ধুর আবেদন পত্র সহ প্রথম দিনেই প্রায় শতাধিক আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। সমস্তটা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে তদন্তে যাবে তদন্তকারী দল। তার পরেই ক্ষতিগ্রস্তদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে দুর্গতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এমনটাই প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *