সন্তানসম্ভবা সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত, তিনি নুসরতের সন্তানের বাবা নন: নিখিল
কল্যাণ অধিকারী
তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী। আবার শহরের প্রথিতযশা ব্যবসায়ীর স্ত্রী। বিয়ে যেন ছিল রূপকথার মতো। তুরস্কের বোদরুম শহরে চারহাত এক হয়েছিল নুসরত জাহান ও নিখিল জৈনের। কিন্তু ভালোবাসার কাছে কবে কোন যুক্তি কাজ করেছে। প্রায় দু’বছরের বিবাহিত সম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। উল্টে ‘বিশেষ বন্ধু’ অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সন্তানের মা হতে চলেছেন নুসরত। এই খবরেই শুক্রবার হুলুস্থুল হল নেটপাড়া।
একুশের প্রথম থেকেই প্রেমের উষ্ণতায় ঝড় তুলেছেন ‘যশরত’ (যশ ও নুসরত)। বিভিন্ন সময় খবরে স্থান পেয়েছে তাঁদের চর্চিত প্রেমের কিসসা। টলিপাড়ার অলিগলি থেকে শহরের সর্বত্র ছড়িয়েছে প্রেমের উত্তাপ। ঠিক ততটাই খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে নুসরত-নিখিল বিবাহিত সম্পর্ক। সন্তানসম্ভবা সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। শুক্রবার এই খবর নেটপাড়া থেকে সংবাদমাধ্যম সর্বত্র ভেসে বেড়াচ্ছে। ঠিক তখন ‘নুসরতের সন্তানের বাবা নন তিনি’, বলতে হচ্ছে নিখিলকে। তাঁর কাছ থেকে এখন অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে স্ত্রী নুসরত। কোথাও হয়তো একটা পুরনো সম্পর্কের আস্বাদ থেকে গিয়েছে।

নুসরতের বরাবরের পছন্দ মাছ আর মিষ্টি। আর পছন্দ সবুজ-সাদায় মেশানো পোশাক। সংসদে শপথ গ্রহণের দিন চওড়া বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়ি, লাল টিপ ও সিঁদুর পরে শপথ নিয়েছিলেন ‘সুন্দর মুখের’ নুসরত। প্রেমের ক্ষেত্রে সবসময় আস্থা রেখে চলেন তিনি। একটি বিজ্ঞাপনে কাজের সূত্রেই নিখিলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। দাম্পত্যে থাকতে-থাকতেই যশের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করতে থাকেন। নিখিল সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন ‘তাদের সম্পর্ক ৬’মাসের ওপর প্রায় ছিন্ন। আলাদাই থাকছেন তাঁরা। রাখঢাক না করেই বলছেন নুসরতের সন্তানের বাবা নন তিনি’।
‘এসওএস কলকাতা’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় একে অপরের অনেক কাছে চলে আসেন। তারপর থেকেই চুটিয়ে প্রেম করছেন ‘যশরত’। একসঙ্গে আজমের শরিফ দরগায় দেখা মিলেছে তাঁদের। একান্তে সময় কাটাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন পাহাড়েও। এবার মা হতে চলেছেন নুসরত। ডিভোর্স না হওয়ায় খাতায় কলমে স্বামী এখনও নিখিল। সন্তানসম্ভবা নুসরত কে না পেয়ে দিনভর সমস্ত প্রশ্ন নিখিলকে করেছে সংবাদমাধ্যম। একটাই কথা বলে গিয়েছেন, ‘নুসরতের সন্তানের বাবা নন তিনি’। দাম্পত্য সব শেষ হওয়ার পরেও হয়তো রয়ে গিয়েছে খানিক স্মৃতি। সেটাই দিনভর হৃদয় দিয়ে হাতড়েছেন ‘প্রাক্তন’ স্বামী নিখিল জৈন।