ছেলেকে খুন করেছে বাবা! শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে গ্রামের মহিলারা
কল্যাণ অধিকারী
ছেলেকে মেরেও ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্ত বাবা। বাড়ির পাশে গর্ত খুঁড়ে পুতে দেবার চেষ্টা করে সে! ওই ঘটনায় দোষী বাবা টিংকু সামন্তর শাস্তি দিতে হবে, তা না হলে আন্দোলন দীর্ঘায়িত হবে দাবি তুললেন আন্দোলনরত এককাট্টা গ্রামের মহিলারা। আমতা থানার গাজিপুরের এই ঘটনার চারদিন পরেও অভিযুক্ত বাবাকে কেন গ্রেফতার করা হল না ? এই দাবিতে শনিবার আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মহিলারা।
মহিলাদের দাবি, গত সোমবার আমতা-২ ব্লকের গাজিপুরে বাবার হাতে মৃত্যু হয় ১৭ বছর বয়সি ছেলে তুষার সামন্তর। এরপরে বাড়ির পাশে গর্ত খুলে পুতে দেবার চেষ্টা করে টিংকু সামন্ত। স্থানীয়রা তা দেখে ফেললে ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে আমতা থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্ত টিংকুকে আটক করে আনলেও পরেরদিন ছেড়ে দেওয়া হয়। শাস্তি হয়নি এমনটাই অভিযোগ তোলেন মহিলারা। তাঁরা আরও বলেন, পাশের পাড়ার এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছেলে তুষার। বারবার বাবাকে নিষেধ করলেও শুনত না। চুরি, মদ খেয়ে মাতলামি সহ একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল টিংকু। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে গ্রেফতার করুক অভিযক্ত বাবা টিংকুকে। সেইমতন আমতা থানায় ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা।
আমতা থানার ওসি সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ছেলেটি মানসিক চাপে ছিল। একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। মহিলারা এসে কিছু দাবি জানিয়ে গেছেন। তদন্ত চলছে’।
গাজিপুর গ্রামের এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার মহিলারা। এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই নির্মম ভাবে ছেলেকে হত্যা করেছে ! এরপরেও গায়ে হাওয়া দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। অভিযুক্ত এরপরে যদি গ্রামের আরও কোন ছেলের উপর হামলা করে তার দায় কে নেবে। শনিবার প্ল্যাকার্ড হাতে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে দোষীর শাস্তির দাবি জানান পঞ্চাশ জনের মত মহিলা। এরপরেই থানায় এসে ডেপুটেশন জমা দেয়। কিশোর তুষারের মৃত্যুর বিচার চায় তাঁরা। গোটা গ্রামের মহিলারা ফুঁসছে।