সেহাগড়ীর পর একি কায়দায় সোনার দোকানে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটল শ্যামপুরে, অধরা দুষ্কৃতীরা
কল্যাণ অধিকারী
গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর থানার সীতাপুরে অভিনব কায়দায় চুরি। সোনার দোকান থেকে দুই লক্ষ টাকার আটটি সোনার চেন নিয়ে চম্পট দিল ২ দুষ্কৃতী সহ মোট তিনজন। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। একিভাবে একের পর এক চুরি হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায়। কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ছিল জামাইষষ্টি। নতুন জামাইকে সোনার চেন উপহার দেবে বিক্রির আশায় লকডাউনের মাঝেই দোকানে তুলেছিলেন সোনার চেন। মঙ্গলবার সকালের দিকে খদ্দের সেজে দুস্কৃতির দল দোকানে প্রবেশ করে। অভিনব কায়দায় দোকানদারের বিশ্বাস অর্জন করে আটটি সোনার চেন নিয়ে পালাল। যার বাজার মূল্য দু লক্ষ টাকা। একে লকডাউন চলছে। বাজার মন্দার। জামাইষষ্টিতে বিক্রির আশাই কাল হল। নিজেকেই দুষছেন দোকানদার।
দোকানের মালিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্কাল ৯টা নাগাদ দোকানে আসে দুই যুবক। বয়স বাইশ-তেইশ। দোকান থেকে রুপোর কিছু জিনিস কেন। দাম অনুযায়ী টাকা মিটিয়ে দেয়। এরপরেই সোনার চেন দেখতে চায়। সেইমতন এক এক করে বিভিন্ন ডিজাইনের আটটি চেন দেখানো হয়। যেহেতু বৌদি পড়বে তাই তাঁকে নিয়ে আসার কথা বলে ওই যুবকরা। পাশাপাশি এও বলে যে বাক্সের বদলে নতুন কাগজে মুড়ে রাখতে। অগ্রিম টাকা দেয়। কাগজে মুড়ে ড্রয়ারে রাখার পরেই টাকা রাখতে মুখ ঘোরাতেই অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে সোনার চেন নিয়ে বেরিয়ে যায় দুই যুবক। দ্রুত বাইকে চেপে চলে যায়। বিষয়টি আশপাশের দোকানদারদের সন্দেহ হলে দোকানের মালিককে জানায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতেই চুরির বিষয়টি সামনে আসে।
কয়েক মাস আগে জয়পুর থানার সেহাগড়ী মোড়ে একিভাবে সকালে চুরি হয়েছিল সোনার গহনা ও নগদ টাকা। ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। দুটি ঘটনা একি দলের ঘটনাপ্রবহ দেখে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ প্রশাসন। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতীকি ছবি।