ভবানীপুর দিদির পাশেই! দাবি কর্মীদের, লড়াই জবরদস্ত হবে পাল্টা গেরুয়া শিবির

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। দেশের মুখ বলেও কেউ কেউ সম্বোধিত করছেন। তবে ভবানীপুরের কাছে তিনি ‘ঘরের মেয়ে’। তাঁর সততা ও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত থাকা সকলের কাছে ভালোবাসার। রাজনীতির বাইরেও একটাই পরিচয় ‘দিদি’। কালীঘাটে পুজো দিতে সুদূর জঙ্গলমহল থেকে আসলেও দিদির বাড়ি কোনদিকে জিজ্ঞাসা করে। এটাই তো ওঁর ইউএসপি। কথাগুলো বলে চলেছেন মধ্য কলকাতার তৃণমূলের ‘পরিচিত মুখ’ এক যুব নেতা।

৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ভোটের প্রচার করা যাবে। জনসংযোগে নেমেছেন এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবালপুরের ষোলোআনা মসজিদ এলাকায় গিয়েছেন, গুরুদ্বারে পৌঁছে জনসংযোগ করেছেন। এরপর গিয়েছেন লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে, ভবানীপুরের প্রসিদ্ধ শীতলা মন্দিরে পৌঁছে প্রার্থনা সেরেছেন তিনি। প্রতিটি মুহূর্তে সাক্ষী থেকেছেন এলাকার মানুষজন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে প্রচার সারতে হচ্ছে। মমতা পথে নামা মানেই জনসমুদ্র। এই অতিমারির পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়ানোটাই প্রধান কাজ। সেটাই করছেন তিনি।

বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা আসতে চাইছেন তাঁর প্রচারে। বিপুল ভোটে জয়যুক্ত দেখতে বিভিন্ন ধর্মস্থানে পুজো দিচ্ছেন কর্মীরা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য নন্দীগ্রামে কি হয়েছে তা রাজ্যের মানুষ জেনে গিয়েছে। জোর করে হারানো হয়েছে দিদিকে! বহু জায়গায় গা জোয়ারি করে ভোট করানো হয়েছে। ভবানীপুর তা পুষিয়ে দেবে বলে মত কর্মীদের একাংশের! যেভাবে ভোট প্রচারে মানুষ এগিয়ে আসছেন তাতে ব্যবধান অনেক বাড়বে আশাবাদী কর্মীরা। এই কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। দিদিকে পঞ্চাশ হাজার ভোটে জিতিয়ে অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে শুভেন্দুকে দেখিয়ে দেওয়া। সততার জয়, মানুষের জয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয়।

দিদির নিজের পাড়া বাসিন্দারা চাইছেন দিদি প্রচারের শেষ সভা রাখুন হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে। এই পাড়ার মেয়ে আগামীদিনের দেশের পথ দেখাবে। ভন্ড নেতাদের থেকে দেশকে রক্ষা করবেন। দেশে শত্রুতার ইন্ধন জোগানো রাজনীতির কারবারিদের উচিৎ শিক্ষা দেবেন ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। অন্যদিকে ভবানীপুরে প্রচারে নেমে বিজেপি চাইছে ভোট বাড়াতে। বিজেপির একাংশের কথায়, রুদ্রনীল ঘোষ এর থেকে লড়াই দেবার ক্ষমতা রাখেন প্রিয়াঙ্কা। লড়াই জবরদস্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *