পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের কপালে ফোঁটা দিল স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা, ভাইফোঁটায় মাতলেন বিধায়করা

কল্যাণ অধিকারী

ওঁরা প্রতিটি মুহূর্তে কর্তবে থাকেন অবিচল। ভাইফোঁটার দিনটিতেও থানায় চেয়ারে বসে ডিউটিতে মগ্ন। জয়পুর থানার পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের ভাইফোঁটা দিয়ে তাঁদের আত্মীয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

শনিবার সকাল দশটা নাগাদ দশ-বারোজন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা এসে পৌঁছায় জয়পুর থানায়। হাতে ছোট ছোট পাত্র। তাতে রাখা চন্দন, দই, দুব্বো, ধানের ছড়া। ওদের দেখে সচকিত পুলিশ আধিকারিকরা। বেজে ওঠে শাঁখ। ওসি অভিষেক রায় সহ থানার সব পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের ফোঁটা দেয়। সংগঠনের আহ্বায়ক সৌরভের কথায়, ওঁনাদের কাছে এই দিনটিতেও কোন ছুটি নেই। আমরা সকলে এসে ফোঁটা দিয়ে দাদা-বোনের সম্পর্কে আবদ্ধ করলাম। সৌমিলি, পাপিয়া ওদের কথায়, “পুলিশ মানেই উর্দিধারী নয়। ওঁনারাও কারো দাদা। বাড়িতে থাকলে দিদি বা বোন নিশ্চয়ই ফোঁটা দিত। কিন্তু আমাদের সুরক্ষা দিতে ভাইফোঁটার দিনটিতেও ওঁরা কর্তব্যে অবিচল। ফোঁটা দিয়ে বড্ড ভালো লাগছে।” পুলিশ আধিকারিকদের কথায়, “নতুন করে অনেক বোনের দাদা হতে পেরে আজ গর্বিত।”    

ভাইফোঁটা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিধায়করা। জয়পুর থানার খালনা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। এলাকার স্কুল পড়ুয়া ও কলেজ পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেন তিনি। বাঁকুল যুবক সংঘ উৎসবের মরশুমে রক্তের চাহিদা মেটাতে রক্তদানের কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ। অন্যদিকে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমির পাঁজার কপালে দই, চন্দনের ফোঁটা দিয়ে প্রণাম করে যায় এক ঝাঁক স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া। তাঁর কথায়, বছরভর শতকাজে ব্যস্ত থাকলেও এই দিনটা সকাল থেকেই সমস্ত বোনেদের জন্য। ভাইয়েদের ভালোবাসায়, বোনেদের স্নিগ্ধতায়, গুরুজনদের আশীর্বাদে, সকল ভাইবোন থাকুক সুবাদে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *