রাজ্যের নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়, খুশি জেলার কর্মী-সমর্থকরা
কল্যাণ অধিকারী
পঞ্চায়েত মন্ত্রীর চেয়ারে বসবার চর্চায় ছিলেন অনেকেই। মঙ্গলবার নাম ঘোষণা হতেই জানা যায় মমতার মন্ত্রীসভায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী হলেন পুলক রায়। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ আসনের তৃণমূল বিধায়ক পঞ্চায়েত মন্ত্রী হয়েছেন এই খবরে খুশি জেলা জুড়ে। বিধানসভায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিধায়কগণ। দলের কর্মী-সমর্থকরা অপেক্ষায় কখন দাদা এলাকায় ফিরবেন শুভেচ্ছা জানাবেন তাঁরা।
পুলকের কাঁধে আপাতত পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কতটা দায়িত্ব বাড়ল ফোন করা হলেও বিধানসভায় থাকায় ফোন ধরতে পারেননি। তবে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব দেবেন, তা একশো শতাংশ পালন করবেন তিনি’। সূত্রের খবর, গুরুত্ব সহকারে রাজ্য মন্ত্রিসভার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের মন্ত্রিত্বর দায়িত্ব সামলে চলেছেন। তারই ফলস্বরূপ মিলল এত বড় মাপের মন্ত্রিত্ব। হাওড়া জেলার বিধায়ক থেকে মন্ত্রী হয়েছেন অনেকেই। পঞ্চায়েত এর মতন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কেউ পায়নি। সে দিক থেকে জেলার গুরুত্ব বাড়ল মত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একাংশের।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান সেনাপতি পঞ্চায়েত দপ্তর সামলেছেন। এবার সেই দায়িত্বে পুলক রায়। কদিন ধরেই একাধিক নাম ঘুরছিল। চর্চায় ছিলেন খড়দহ থেকে জেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মত বর্ষীয়ান নেতা। গ্রামীণ ব্যবস্থা সম্পর্কে গভীরতা থাকা বিধায়ক পঞ্চায়েত দপ্তর সামলাতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে ৫৬ বছর বয়সী গ্রামীণ হাওড়ার তিন বারের বিধায়ক পুলক রায় যথেষ্ট অভিজ্ঞতাপূর্ণ। এর আগে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এমন প্রশাসনিক ও দলীয় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকা সেনাপতির কাঁধে পঞ্চায়েত দপ্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুশির অন্ত নেই উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষজন থেকে কর্মী-সমর্থকরা।
প্রতীকী ছবি।