ছাত্র-ছাত্রীদের কোলাহলে প্রথম দিনেই জমজমাট জেলার স্কুল-কলেজ

কল্যাণ অধিকারী

মোবাইল হাতে অনলাইন ক্লাস আর নয়। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলের গণ্ডিতে পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার জেলার সর্বত্র খুলল স্কুল, কলেজ। দীর্ঘ ২০ মাস বাদে পড়ুয়ারা হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে আবার কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে স্কুল-কলেজে পৌঁছালেন। ফিরে পেলেন পুরনো স্মৃতি। ছাত্র-ছাত্রীদের কোলাহলে প্রথম দিনেই জমজমাট জেলার স্কুল-কলেজ। খুশি পড়ুয়ারা, দীর্ঘ কয়েক মাস পর ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে পেরে আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে শিক্ষকদের।  

হাওড়া শহর ও গ্রামীণ এলাকায় স্কুল কলেজের গেটের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্বাগত জানান পড়ুয়াদের। স্যানিটাইজার স্প্রে, থার্মল স্ক্রিনিং করার পাশাপাশি দেওয়া হয় পেন, লজেন্স, গোলাপ। শহরকেন্দ্রিক স্কুল বেলুড় হাই স্কুলের গেটে ছাত্রছাত্রীদের হাতে ফুল, লজেন্স দেন প্রধানশিক্ষক। বেলুড় লালবাবা কলেজ কর্তৃপক্ষর পক্ষ থেকে টাঙানো হয় বিজ্ঞপ্তি। কোন ছাত্রছাত্রীর করোনা হলে রাজ্য সরকারের নিয়ম মানতে হবে। সাঁকরাইল বকুলতলা এলাকায় খুলল একটি বেসরকারি স্কুল। পড়ুয়ারা ব্যাগ কাঁধে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে স্কুলে প্রবেশ করেন। আমতার পানপুর শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত জানান। সম্প্রতি তিনি মাতৃহারা হয়েছেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের ছেড়ে কি থাকা যায়। আবেগ ধরা দিল চোখে। হাওড়া জেলার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা ইউনিয়ন হাইস্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান, পাশপাশি করোনা বিধি মানার কথা বলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা।

উলুবেড়িয়া কলেজ, বাগনান, আমতা রামসদয় কলেজ, জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজে দেখা গেল পড়ুয়ারা এসেছেন। তাপমাত্রা পরীক্ষা ও স্যানিটাইজ করেই কলেজে প্রবেশ করছে সকলে। বাগনান কলেজ টিএমসিপি’র পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল, চন্দনের ফোঁটা, মিষ্টি দেওয়া হয়। এবং জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আমতা কেন্দ্র ছাত্র পরিষদের সভাপতি জন্মেঞ্জয় গুই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *