বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়েই ছাত্রজীবনের স্মৃতিবিজড়িত স্কুলে বিধায়ক
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় একসময় পড়াতেন আমতা থানার তাজপুর মহেন্দ্রনাথ রায় ইন্সটিটিউশনে। আবার এই স্কুলেই ছাত্রজীবন শুরু করেছিলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হওয়ার পরেই ছাত্রজীবনের স্মৃতিবিজড়িত স্কুলে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করলেন এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে বিধায়ক সুকান্ত।

স্কুলের প্রায় সর্বত্রই দেওয়ালে মনিষীদের ছবি। সামনে বৃহদাকার মাঠ। স্কুলের প্রাঙ্গণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মর্মর মূর্তি। ফলকে লেখা উন্মোচন করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি গ্রন্থাগারেরও উদ্বোধন করে যান অধ্যক্ষ। করোনা পর্বে ২০ মাস পর আবারো খুলেছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়েছেন সুকান্ত পাল। ছাত্রজীবনের কথাগুলি বারেবারে ফিরে এসেছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে সেইসমস্ত স্মৃতি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রছাত্রীদের কোনপ্রকার অসিবুধা হলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে জানাতে নিজের ফোন নম্বর দিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন তিনি গিয়েছিলেন তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের অধীন জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজে। সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। কথা বলেন অধ্যক্ষ সৌমিত্র সরকারের সঙ্গে। বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন আমতা-২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মাসুদুর রহমান।
সুকান্ত পাল বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে আবারও পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। আমার নিজের বিদ্যালয় তাজপুর মহেন্দ্রনাথ রায় ইন্সটিটিউশনে গিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করলাম ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয়। বহু পুরনো স্মৃতি আজ আবারো ফিরে পেলাম। একিসঙ্গে জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজেও গিয়েছিলাম। কথা বলি অধ্যক্ষর সঙ্গে। ছাত্রছাত্রীদের সাথে আলাপচারিতায় উঠে আসে করোনা পরিস্থিতিতে ওদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অনেক স্মৃতি।”

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের কথায়, “আমতা ২ ব্লকের তাজপুর গ্রাম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনেক স্মৃতি রয়েছে। এই স্কুলে পড়িয়েছেন। সেইসময় প্রায় ছ’মাস থেকেছিলেন গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারের বাড়িতে। অন্যদিকে তাজপুর গ্রামের ছেলে এলাকার বিধায়ক সুকান্ত পাল। বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়েছেন তিনি। এমন খবরে আমরা সকলে অত্যন্ত খুশি। উনি এসেছিলেন কথা বলেছেন সকলের সঙ্গে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।