ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে কৃষকরা

কল্যাণ অধিকারী

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার চিন্তা কৃষকদের। বন্যায় নষ্ট করেছে ফসল। এবার পাকা ধানে মই দিতে আসছে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়। সবে ধানে পাক ধরেছে। বসানো হচ্ছে আলু। এবার যদি ফসল নষ্ট হয়ে যায় পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের।

দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদার সঙ্গে হাওড়া জেলাকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরপরেই মাঠের পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গোনা শুরু করেছেন কৃষকরা। উদয়নারায়ণপুরে ধান চাষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার আলু চাষেও কি হবে বুঝতে পারছেন না ৫০টি গ্রামের কৃষকরা। উদয়নারায়ণপুরের পাশাপাশি আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। পানের বরজ, পুকুরের মাছ সমস্ত ভেসে যায়। এখনো মেলেনি ক্ষতিপূরণ। আরও এক ঝঞ্চার সামনে। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নির্দেশনামায় বলা হয়েছে মাঠের পাকা ধান দ্রুত কেটে, ঝেড়ে, গুদামজাত করতে হবে। প্রয়োজনে যন্ত্রের সাহায্যে তা করতে হবে। সবজি, তৈলবীজ, সরিষা কিংবা আলুর জমিতে জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। যে সকল কৃষকদের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আলু বোনার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের আলু বোনার কাজ সাত দিন পিছিয়ে দিতে বলা হয়েছে। একিসঙ্গে সবজির মাচা ও পানের বরজকে শক্ত করে বাঁধনের ব্যবস্থা করবার কথা বলা হয়েছে। এবং আবহাওয়ার পরবর্তী বুলেটিনগুলির ওপর লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের ইতিমধ্যে সচেতন করার কথা বলা হচ্ছে। আগামী নির্দেশ আসলেই মাইকিং করে বলা হবে। উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতিও কৃষি দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে চলছেন। কৃষকদের পাশে সর্বদা রয়েছে সরকার। তাঁদের যাতে করে ফসলের ক্ষতি না হয় সেইমতন মাইকিং করে সচেতন করা হবে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *