বাসের সামনের চাকা ফেটে সুমোয় ধাক্কা, আহত একি পরিবারের সাতজন সহ পনেরো যাত্রী
কল্যাণ অধিকারী
শিশু কে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন, বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর জখম একি পরিবারের শিশু সহ সাতজন। বাসের ৮ যাত্রীরও আঘাত গুরুতর। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলায় রানিহাটি-আমতা সড়কে চন্দ্রপুর আউটপোস্টের কাছে। ১০জন যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাঁকরাইল-আমতা রুটের একটি বাস আমতায় আসছিল। হঠাতি বাসটির সামনের চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সুমোর সামনে প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা মারে। সুমোর সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। আকস্মিক এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় স্থানীয়রা। ছুটে এসে উদ্ধারে নামেন তাঁরা। চলে আসেন চন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় সুমোয় থাকা যাত্রীদের। কারো মাথা ফেটেছে কারো আবার হাতে-পায়ে চোট। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সুমোর ভিতর। বাসে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রীর আঘাত গুরুতর। প্রত্যেককে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
উলুবেড়িয়া হাসপাতালে আহত যাত্রীরা জানান, শিশুর চিকিৎসা করাতে মানিকপির যাচ্ছিলেন। সুমোয় ছিলেন তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ এবং এক শিশু। বাড়ি আমতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং দুই আত্মীয়ের বাড়ি খানাকুলে। বাসটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে। তারপর আর কিছুই মনে নেই। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জ্ঞান ফেরে। বাস যাত্রীদের কথায়, দশনম্বরের পর থেকে গাড়িটি গতিতে চলছিল। হঠাতি প্রচন্ড আওয়াজ হয়। যাত্রীরা এর ওর উপর ছিটকে পরে। বাসের কমবেশি দশজন আহত হয়। কান্নাকাটি জুড়ে দেন আহতরা। মুহূর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে।
চন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ আধিকারিকদের কথায়, বাসটির চাকা ফেটে যাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। সুমোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যাত্রীদের প্রত্যেকে আহত। তাঁদের এবং বাসের আহত যাত্রীদের আমতা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে। আমতা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জনের মতো আহতকে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।