দিদিকে স্টেশনে ভাই কেষ্ট দিলেন বীরভূমের চপ-মুড়ি

কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট

তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে দিদি যাচ্ছেন রেলপথে। ভাই কেষ্ট অনেকক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষায় বসে। বোলপুর স্টেশনে শতাব্দী এক্সপ্রেস ঢুকতেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে জেলা সভাপতির। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী পরে এগিয়ে চলেন কেষ্ট। দিদি হাসি মুখে দরজায় এসে দাঁড়াতেই প্রণাম করে হাতে তুলে দিলেন বীরভূমের চপ-মুড়ি। হাসি মুখে ভাই কেষ্টকে কিছু উপদেশ দিলেন দিদি। স্টেশনে আসা সমর্থকদের দিকে হাত নাড়লেন। তারপর ট্রেন এগিয়ে চলল পরের স্টেশন অভিমুখে।

দিদি ট্রেনে করে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলে বোলপুর স্টেশনে আসেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বোলপুর স্টেশনে কয়েক মিনিটের জন্য থেমেছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। দিদির পছন্দের চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হন কেষ্ট। সঙ্গে ছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। দিদির হাতে তুলে দিতে পেরে স্বভাবতই খুশি ভাই। জেলার সমস্ত দায়িত্ব কেষ্টর উপর দিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোট হোক বা বিধানসভা অথবা লোকসভা সবেতেই দলকে উতরে দেন অনুব্রত মন্ডল কেষ্ট। এদিন ভাই এসেছেন স্টেশনে হাসি মুখে দরজায় এসে দাঁড়ান দিদি। প্ল্যাটফর্ম ভরে ওঠে সমর্থকদের স্লোগানে। জেলার হালহকিকত নিয়ে কথা বলেন তাঁরা এমনটা জানা গেছে।

রেলপথে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন জেনেই দিদিকে স্বাগত জানাতে ফারাক্কা স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। বাতানুকুল কামরার কাঁচের জানালার ওপারে মুখ্যমন্ত্রী। স্লোগানে দিতে থাকেন স্টেশনে আসা সমর্থকরা। সিট ছেড়ে দরজায় এগিয়ে আসেন তিনি। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন। আবহাওয়া বাধ সাধায় উত্তরবঙ্গ সফরে রেলপথেই যাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে রওনা দেন তিনি। শতাব্দী এক্সপ্রেসের বাতানুকুল কামরার ডানদিকের সিটে বসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *