অসুস্থ নারায়ণ দেবনাথকে দেখতে এসেও বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় রাজ্যপাল, পাল্টা তৃণমূল

কল্যাণ অধিকারী

হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেল হাওড়ায় রাজ্যপালের মন্তব্যে। অসুস্থ বাঁটুল স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথকে শনিবার হাওড়ার বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। শিবপুরের বাড়িতে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। শিল্পীর সুস্থতাও কামনা করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধানসভার  স্পিকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টের স্রষ্টা তথা বিখ্যাত বাঙালি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। শনিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ শিল্পীর বাড়িতে এসে পৌঁছন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল সই না করার ফলে আইনগত ভাবে আটকে রয়েছে হাওড়া পুরসভার ভোট। এরমধ্যেই হাওড়ায় আসা ভালো ভাবে নিচ্ছে না শাসক দল। তাঁর আসাকে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি সাংবাদিকদের জানান, “উনি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে বহু অসুস্থ মানুষ রয়েছেন। সকলের সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন। তা না করে ঘোলা জলে মাছ ধরবার চেষ্টা করছেন।”

চলতি বছর ‘‌পদ্মশ্রী’‌ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলার কৃতি নারায়ণ দেবনাথ। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন ৯৮ বছর বয়সী নারায়ণ বাবু। তাঁর বাড়িতে বেশ কিছুটা সময় কাটান। ফিরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। বিল আটকে রাখা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা হাওড়া নগরপালিকাকে বিভাজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধানসভা থেকে পাঠানো বিল আমার কাছে রয়েছে। সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই বিলের নির্ণয় আমাকেই নিতে হবে। ওই বিলের নির্ণয় তিনভাবে নেওয়া যায়। এক বিলকে স্বীকার করে নেওয়া। দ্বিতীয় বিলকে পূণরায় বিধানসভায় পাঠিয়ে দেওয়া, নইলে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো। যখন আমার কাছে এই বিল আসে এ প্রসঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরকারের কাছে চাই। কিন্তু ২৪ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত পাইনি।    

তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগজনক এবং চিন্তার বিষয়। আমার কাছে কোন ত্তথ্য পাঠাচ্ছেন না। উল্টে স্পিকার বলছেন আমি না-কি বিল সই করছি না।” এ প্রসঙ্গে বিধায়ক তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, উনি শুধুশুধু একটি বিলকে আটকে রেখেছেন। সই করলে হাওড়া পুরসভার ভোট হয়ে যেত। কিন্তু তিনি না করায় ভোট হচ্ছে না হাওড়ায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *