কলকাতা পুরভোটে বিপুল জয়ে আনন্দে ভাসলেন হাওড়ার তৃণমূল কর্মীরা

কল্যাণ অধিকারী

কলকাতা পুরসভার ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার। আনন্দে ভাসলেন গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের শহর হাওড়ার তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের সাফ জবাব, আবারও প্রমাণ করল দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশের লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নেত্রীকে সামনে রেখেই লড়াইয়ে নামুক বিরোধী দলগুলি।

বিধানসভা ভোটে জয় মিলেছে আগেই। মাঝে উপনির্বাচনে বিরোধীদের শূন্য করেছে। এবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বিপুল জয় জোড়াফুল শিবিরের। হাওড়া শহরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতন। সকাল থেকেই টিভির সামনে চোখ রেখেছিলেন তাঁরা। গণনার একঘণ্টা পর থেকেই প্রাথমিক ফলে স্পষ্ট হতে থাকে। দুপুর গড়াতেই শুরু হয়ে যায় আবীরখেলা। কর্মীদের সঙ্গে মিশে যান নেতারাও। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘দুর্নীতি, বেকারত্বর জ্বালায় নাজেহাল ত্রিপুরাবাসী। ওখানের পুরভোট আটকাতে চেয়েছিল তারপরও দ্বিতীয় হয়েছে দল। কলকাতায় ওঁদের পিছনের সারিতে পাঠিয়েছে তৃণমূল। মানুষ চাইছে উন্নয়ন, ভাঁওতাবাজি নয়। তাই দু’হাত উজাড় করে মমতাদিকে সমর্থন করেছেন কলকাতার মানুষজন’।

হাওড়া পুরসভার ভোট কবে না জানা গেলেও, কলকাতার জয়ের পর বিরোধী শূন্য দেখছে সদরের তৃণমূল নেতাদের একাংশ। গত সপ্তাহে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হাওড়া সদরের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। শুভেন্দুর বিপরীতে অবস্থান করা নেতা দলে আশায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘একসঙ্গে লড়াই করে পুরভোটে সবকটা আসনে জিততে চাই’। ফলে কলকাতা পুরভোটে বিপুল জয়ে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তাঁরা। হাওড়া পুরসভাতেও বিরোধীদের খালি হাতে ফেরাবে সদরবাসি। প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে লড়াইয়ের প্রস্ততি নামতে চলেছে দল। কিন্তু ভোটের দিন কবে সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যপালের সইয়ের ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *