আপনার আনন্দ যেন অন্যের বিপদ না ডেকে আনে, মাস্ক পড়ুন, দূরত্ব বজায় রাখুন
কল্যাণ অধিকারী
শীত মানেই মেলা, উৎসব-পার্বণ। আপনি বলবেন পৌষ মেলা। আমি বলবো সাগর দ্বীপের দক্ষিণে গঙ্গাসাগর মেলা। আরও রয়েছে জয়দেবের মেলা। শহরের ইকোপার্কে হস্তশিল্পের মেলা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে মেলা আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত?
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্য সরকার প্রভূত ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সচেতনতা প্রচার সব থাকে। কিন্তু মানুষ কতটা সতর্কতা নিচ্ছে তাও বুঝতে হবে। ট্রেনে-বাসে এখনো অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন না। অনেকেই থুতনির নিচে মাস্ক রেখে ফোনে গল্প করতে থাকেন। আপনি যে দোকানে কেনাকাটা করে থাকেন দোকানদার মাস্ক ব্যবহার করছে কী? করলেও নাক ঢাকা রয়েছে? দেখবেন সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। জিজ্ঞাসা করলে মুখের ওপর জবাব দিয়ে দেবে ডবল ভ্যাকসিন নিয়েছেন। রয়েছে তার সার্টিফিকেট।
ডোমেস্টিক বিমানে ওঠার আগে ওয়েব চেক-ইন, চেক-ইন ব্যাগ এই সময় অর্থাৎ যতক্ষণ লাউঞ্জে রয়েছেন মাস্ক ঠিকঠাক। বিমানে উঠে স্বস্তির শ্বাস নিতে মাস্ক খুলে ফেলেন! এমনটা করাটা অত্যন্ত বিপদজনক। সংক্রমণ অনেক ভাবে ছড়াতে পারে। শুধুমাত্র মেলা থেকেই হবে তা কিন্তু নয়। অন্যভাবে ভাবলে মেলা হোক বা বছর শেষ ও শুরুর অনুষ্ঠান একসঙ্গে হাজারো মানুষ একত্রে জমায়েত হলে সংক্রমণ ছড়ানো অস্বাভাবিকের কিছু নয়।
আমাদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে, জীবন সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। আপনি নিজে মাস্ক পড়ুন সামনের ব্যক্তিকে বলুন মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে। তিনি পজিটিভ হোক আর না-ই বা হোক সমাজকে ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ও বারবার হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যকেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।