তিনটি বাঘরোল মেরে ফেলার ঘটনায় ফুঁসছেন পরিবেশ কর্মীরা

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

✪ পরিবেশ কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদে
✪ বিকেলেই অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের
✪ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথে নামতে চলেছেন

গ্রামীণ হাওড়ার কালিকাপুরে তিনটি বাঘরোলকে মেরে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশ কর্মীরা। অভিযুক্ত দুই যুবকের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথে নামতে চলেছেন তাঁরা। নৃশংসতা দেখে হতবাক রেঞ্জ অফিসার থেকে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার। এফআইআর করে কঠোর শাস্তির পক্ষে তাঁরা।

গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান থানার কালিকাপুর গ্রাম। মূলত কৃষি প্রধান মানুষের বসবাস। গ্রামের অন্য প্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। এখানেই ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবেশ কর্মীদের কথায়, গ্রামবাসীদের কাছ থেকেই পরিবেশ কর্মীরা খবর পায় তিনটি মৃত বাঘরোলের কথা। ১০-১২ দিনের মধ্যে তিনটি বাঘরোলকে বিষক্রিয়ায় মেরেছে কে বা কারা। খবর যায় উলুবেড়িয়া বন দফতরে। চলে আসেন ফরেস্ট অফিসার রাজু সরকার। আসেন ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায়। তদন্ত শুরু হতেই জানা যায় তিনটিই স্ত্রী বাঘরোল। খোঁজ খবর শুরু হতেই জানা যায় এই ঘটনায় গ্রামেরই দুই যুবক জড়িত। রাতের দিকে অভিযুক্তদের বাড়িতে জানানো হয় শুক্রবার সকাল দশটায় দেখা করতে। কিন্তু অভিযুক্ত প্রভাস এবং প্রতাপ পাত্র গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।

রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার কালিকাপুর গ্রামে দশটায় পৌঁছে যান। কিন্তু অভিযুক্ত দুই যুবক দেখা করেননি। এরপরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনই এফআইআর করা হবে বলে জানা গেছে। একটি বাঘরোলের প্রায় ত্রিশ শতাংশ পচন ধরেছে। তাতে করে বোঝা গেছে সপ্তাহ খানেক আগেই মারা হয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়টি অল্প পচন শুরু হয়েছে। এবং তৃতীয়টি সম্ভবত একদিন আগেই মারা হয়েছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে সমস্ত ঘটনাটা ঘটেছে।

পরিবেশ কর্মী এবং বন্যপ্রাণ রক্ষার কাজে যুক্ত চিত্রক প্রামাণিক, প্রদীপ রঞ্জন রীত, অনির্বাণ সেনাপতি, সুমন্ত দাস প্রত্যেকেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবিবার ওই এলাকায় সচেতনতা মূলক প্রচারে নামা হবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি উলুবেড়িয়া বন দফতরে পৌঁছে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাবেন এমনটা জানা গেছে। গ্রামবাসীদের একাংশের কথায়, নহলা যাওয়ার রাস্তাটা অনেকটা শুনশান। কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন ওদিকে যাতায়াত করেন। বাঘরোল তিনটিকে মেরে ফেলে দিয়েছে শুনে অনেকেই দেখতে যায়। গাছের গোড়ায় দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। মনে করা হচ্ছে অন্যত্র মেরে দড়ি বেঁধে টেনে এনে ওখানে ফেলা হয়েছে। যেই জড়িত হোক সাজা পাওয়া দরকার। শেষ খবর জানা গেছে, বিকেলেই অভিযুক্তদের নামে এফআইআর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *