রাণীহাটি, ধূলাগোড়-সহ জেলার অন্দরে প্রতিবাদে শামিল শ’য়ে শ’য়ে আন্দোলনকারী রেল-রাস্তা অবরোধে স্তব্ধ হাওড়া
কল্যাণ অধিকারী
এবার প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ল জেলার অন্দরে। শুক্রবার ধূলাগড় থেকে রাণিহাটি, শ্যামপুর, চাঁপাতলা থেকে মানিকপীড় গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার ‘ঘৃণাভাষণ’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে শামিল শ’য়ে শ’য়ে আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবি, গ্রেফতার করা হলে তা হবে লোকদেখানো। নপুর শর্মার ফাঁসি দেওয়া হোক।
ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর দুটো। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে রাণিহাটি মোড়ে কয়েকশো আন্দোলনকারী প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হন। রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। দুপাশারি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাদা পোশাকের পুলিশ এলাকায় পৌছে যায়। চলে আসেন গ্রামীণ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ততক্ষণে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হাকোলা মোড়। মানিকপীড় এলাকায়। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের অঙ্করহাটির কাছে প্রায় ১১ ঘণ্টা প্রতিবাদ দেখিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন পাঁচ কিমি অন্তর বিক্ষোভে নামেন আন্দোলনকারীরা। বড় জমায়েত হয় ধূলাগড়। পাশপাশি রাণীহাটি, বেলতলা, গাববেড়িয়া, মানিকপীর, শ্যামপুর সর্বত্র রাস্তায় টাওয়ার জ্বালিয়ে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখান। তবে এম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার গাড়িকে আন্দোলনকারীরা ছাড় দেয়।
এদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলে চেঙ্গাইলে অবরোধের জেরে সাঁতরাগাছি, চেঙ্গাইল, ফুলেশ্বর, উলুবেড়িয়া, বাগনান-সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন। সাঁকরাইল স্টেশনে ট্রেন না পেয়ে বহু যাত্রী বাসে করে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। চাঁপাতলা মোড়ের কাছে অবরোধের জেরে আটকে যায় যান চলাচল। ধূলাগড় মোড়ে হাইওয়েতে কয়েকশো আন্দোলনকারী প্রতিবাদে শামিল হন। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্ভিস লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল চালু রাখা হয়। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর প্রশাসনের। রাণীহাটি মোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চলে। তবে মহিলারাও এদিনের আন্দোলনে শামিল হয়েছে। তাঁরাও বিজেপি নেত্রীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ধর্ম সবার। তাকে অবমাননা করা কখনোই কাম্য নয়। এমন ‘ঘৃণাভাষণ’ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের সরকার তাকে গ্রেফতার করেনি। দাবি একটাই ফাঁসি দেওয়া হোক তাঁকে।