এই প্রতিবাদের স্বর কাদের, নিন্দায় ভুক্তভোগীরা!
কল্যাণ অধিকারী
এটা প্রতিবাদ!
প্রতিবাদের কন্ঠ কোথায়, এ-তো ক্ষমতা প্রমাণের চেষ্টা!হাজার-হাজার মানুষ দু’দিন বেপরোয়া আন্দোলনের জেরে সমস্যায়। কীভাবে বাড়ি ফিরবে জানে না। হাওড়া স্টেশনে থিকথিকে ভিড়। আজকের কথাই ধরুন, হাওড়া স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ খড়গপুর শাখায় লোকাল ট্রেনের দেখা পায়নি। রাত আটটার পরে একটা মেদিনীপুর লোকাল যদিও বা দিল, তাতে গাদাগাদি করে লোক উঠেছে। ঘন্টাখানেক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে। কামরার ভিতরে হাজারো লোকজন গরমে ভেপসে যাচ্ছে। তিতিবিরক্ত পরিস্থিতি।
আন্দোলন ‘গান্ধীজির’ মতো হবে তেমনটা ভাবাও ভুল। টিভি চ্যানেলে সঞ্চালক চিৎকার করছে, ট্রেনে বাসে চিৎকার চেঁচামেচি, সিট ধরা নিয়েও হাতাহাতি, আন্দোলনই বা কেন ‘গান্ধীজির’ নীতি মেনে হবে!কিন্তু, এভাবে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন এর জেরে বহু মানুষ সমস্যায় পড়লেন। এম্বুলেন্স ও জরুরী পরিষেবা ছাড় দেওয়া হয়েছে যা ভালো লক্ষ্যণ। তবে এম্বুলেন্স ছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই বাসে ট্রেনে যায়। তাঁদের কতটা অসহায় অবস্থায় পড়তে হল সেটা বুঝবেন কবে!
যারা আন্দোলন করে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ দেখালেন তাঁদের পরিজনেরাও বাস-ট্রেন না পেয়ে ঘোর সমস্যায় পড়লেন এটা ভুলবেন না। কেউ কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলবে তা অবশ্যই মানা যায় না। তারপর সেই মন্তব্যের রেশ টেনে জায়গায় জায়গায়, মোড়ে মোড়ে পথ আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন এটা কিন্তু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় না। এই প্রতিবাদের স্বর কাদের এই শব্দেই নিন্দা করছেন ভুক্তভোগীরা!